নাবালিকাকে বারবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বাবার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এই কাজে বাবাকে সাহায্য করেন সৎ মা। অবশেষে মামার বাড়িতে পালিয়ে গিয়ে গোটা ঘটনা খুলে বলে সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী। সঙ্গে সঙ্গে জরুরি নম্বরে ফোন করেন নাবালিকার দাদু। নাবালিকাকে উদ্ধারের পাশাপাশি অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনা বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট এলাকার। ১৪ বছর বয়সী সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীর মা বেশ কয়েকবছর আগে মারা গিয়েছেন। তার পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন বাবা। একই বাড়িতে পাশাপাশি ঘরে থাকতেন বাবা ও মেয়ে। অভিযোগ, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রথমবার নাবালিকার সৎ মা ঘুম থেকে তুলে তাকে বাবার কাছে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে তার ৩৫ বছর বসয়ী বাবা।
অভিযোগ, এর পর গত কয়েক মাসে অন্তত ১৫ বার তাকে ধর্ষণ করেছে বাবা। এমনকী গত ১৪ অগাস্ট রাতে মামাবাড়ি আসার আগেও তাকে ধর্ষণ করতে চেয়েছিল বাবা। কিন্তু সেদিন প্রচণ্ড পেটে ব্যথায় কাতরাচ্ছিল মেয়েটি। তাই সৎ মায়ের অনুরোধে সেদিন ধর্ষণে বিরত হয় বাবা। নাবালিকার অভিযোগ, ধর্ষণের কথা কাউকে বললে প্রাণনাশের হুমকি দিত বাবা।
সোমবার মামা বাড়িতে এসে দরজা বন্ধ করে কাঁদতে শুরু করে নাবালিক। এর পর মামাবাড়ির লোকজনকে ঘটনার কথা জানায় সে। সঙ্গে সঙ্গে জরুরি নম্বরে ফোন করে পুলিশের সাহায্য চান নাবালিকার দাদু। তিনি জানিয়েছেন, মেয়ে মারা যাওয়ার পর জামাইয়ের সঙ্গে খুব যোগাযোগ ছিল না। আমরা এই ঘটনার সুবিচার চাই। সোমবার হালুয়াঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকা। তার পরই অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নাবালিকার সৎ মায়ের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছেন পুলিশকর্মীরা।