বাংলা নিউজ > ঘরে বাইরে > Monsoon Death Data: বিলম্বিত আগমন মৌসুমী বায়ুর, তাও এবছর বর্ষার বলি ৬২৪, জানাচ্ছে শাহের মন্ত্রক

Monsoon Death Data: বিলম্বিত আগমন মৌসুমী বায়ুর, তাও এবছর বর্ষার বলি ৬২৪, জানাচ্ছে শাহের মন্ত্রক

বর্ষাকালে এবার দেশ জুড়ে মৃত্য হয়েছে ৬২৪ জনের (HT_PRINT)

এবছর দেরিতে বর্ষা প্রবেশ করেছে দেশে। এরপর বর্ষা অগ্রসর হতেও সময় লেগেছে। তবে উত্তর ভারতে প্রলয়ের রূপ নিয়েছে বর্ষা। হিমাচলে এবছর বর্ষার বলি হয়েছেন ৯৯ জন। তবে এবার বর্ষাকালে মৃত্যুর নিরিখে হিমাচলকেও পিছনে ফেলেছে গুজরাট। তবে গতবছরের তুলনায় সার্বিক ভাবে ৩২ শতাংশ কমেছে মৃত্যুর সংখ্যা। 

এবছর প্রায় ৮ দিন দেরিতে ভারতে প্রবেশ করেছে দক্ষিণপশ্চিমী মৌসুমী বায়ু। বর্ষা প্রবেশের পরও ঠিক ভাবে তা অগ্রসর হয়নি। তাই দেশের বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিয়েছ বৃষ্টির ঘাটতি। তবে এরই মধ্যে প্রলয় নেমেছে উত্তর ভারতে। হিমাচলপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরাখণ্ড, দিল্লিতে প্রবল বর্ষণ দেখা গিয়েছে বিগত সপ্তাহে। এর জেরে শুধুমাত্র হিমাচলেই অন্তত ৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে এরই মাঝে সামনে এল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক তথ্য। যাতে দেখা গেল, এবছর বর্ষার জেরে সবথেকে বেশি মৃত্যু ঘটেছে গুজরাটে। দেশ জুড়ে মোট ৬২৪ জন এখনও প্রাণ হারিয়েছেন বর্ষায়। গতবছরের তুলনায় যা ৩২ শতাংশ কম। পূর্ব ও মধ্য ভারতে বৃষ্টির ঘাটতির জেরেই গতবছরের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা এবছর কম বলে মনে করা হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, এবছর তেলাঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ সহ মোট ১২টি রাজ্যে বৃষ্টির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এদিকে রিপোর্টে হিমাচলের প্রলয়ের উল্লেখ রয়েছে। এবছর রেকর্ড ২২৩ মিলিমিটার বৃষ্টি দেখেছে উত্তরের এই রাজ্য। হিমালয়ের কোলে অবস্থিত সোলান, উনার মতো জায়গায় বৃষ্টির ৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। দিল্লিতে যমুনার জল স্তরের ৪৫ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজধানীতে। হিমাচলে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ বাস্তুহারা হয়েছিলেন। দিল্লিতেও কয়েক হাজার মানুষকে তাদের বাসস্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছিল।

এদিকে কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, হিমাচলে এখও পর্যন্ত বর্ষার জেরে ৯৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতবছর এই সংখ্যাটা ছিল ১৮৭। তবে ২০২২ সালের তুলনায় এবছর হিমাচলের সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৫ গুণ। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, হিমাচল থেকে এবছর বর্ষার জেরে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে গুজরাটে। শাহের মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গুজরাটে এবছর বর্ষার বলি হয়েছেন ১০৩ জন। মূলত ঘূর্ণঝড় বিপর্যয় এবং তার পরে ভারী বৃষ্টিপাতের জন্যই এত সংখ্যক মৃত্যু বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। এদিকে দক্ষিণের কর্ণাটকে এবছর বর্ষার বলি হয়েছে ৮৭ জন। রাজস্থানে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬ জন। এদিকে বন্যা কবলিত পঞ্জাবে এবছর মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। পড়শি হরিয়ানায় বর্ষার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ জন। এদিকে উত্তরপূর্বের অসমে এবার মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। গতবার এই সংখ্যাটা ছিল ১৯৩ জন। এদিকে মেঘালয় এবং মণিপুরে বর্ষার বলি হয়েছে ৮ জনের। গতবার যে সংখ্যাটা ছিল ৮৯। উল্লেখ্য, এবছর এই দুই রাজ্যেই বৃষ্টির ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এদিকে মহারাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রদেশে এবছর ৯২ জন প্রাণ হারিয়েছেন বর্ষায়। গতবছর সংখ্যাটা ছিল ১৮৭।

এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, এবছর দু'লাখ হেক্টর চাষজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বর্ষায়। গতবছর ২.৪৮ লাখ হেক্টর চাষজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বর্ষার জেরে। তবে এবারে ধসে যাওয়া বাড়িঘরের সংখ্যা গতবারের তুলনায় কম বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। দেশের অধিকাংশ জায়গায় ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় বাড়িঘর নষ্টের সংখ্যা মোটের ওপর কম। তবে সার্বিক ভাবে সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির নিরিখে গতবারের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি ক্ষতি হয়েছে এবছর।

বন্ধ করুন