চিনে ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে ধুমপান থেকে সৃষ্টি হওয়া রোগের কারণে।সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও চিনের যৌথ সমীক্ষায় এই চাঞ্চল্যকর তথ্যই উঠে এসেছে।একই সঙ্গে এই রিপোর্টে এমনও দাবি করা হয়েছে, এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে ২০৩০ সালের মধ্যে এই সংখ্যাটি দ্বিগুন হয়ে যাবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও চিনের প্রশাসনের যৌথ সমীক্ষা রিপোর্টে যা উঠে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, চিনে ৩০ কোটিরও বেশি মানুষ ধুমপান করেন।যারা ধুমপান করেন, তাঁদের মধ্যে ২৬.৬ শতাংশ মানুষের বয়স ১৫ বছর বা তার থেকে বেশি।এই বয়সিদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি পুরুষ সিগারেট খান।উল্লেখযোগ্য বিষয়, এবারে যে বার্ষিক রিপোর্ট পেশ হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে একাংশের মানুষ ই–সিগারেটে নেশায় মগ্ন।এভাবে যদি চলতে থাকে, তাহলে ২০৩০ সালের মধ্যে এই ধুমপানকারীদের সংখ্যা দ্বিগুন হতে বেশিদিন সময় লাগবে না।
এই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে চিনের প্রশাসনের তরফে একটি লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।সেই লক্ষ্যমাত্রায় ১৫ বছর ও তার বেশি বয়সিদের মধ্যে ধুমপানের প্রবণতা কমানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।২০৩০ সালের মধ্যে ২০ শতাংশ ধুমপান কমানোর পরিকল্পনা রাখা হয়েছে।আগামী ৩১ মে টোবেগো দিবস হিসাবে পালিত হয়।তার আগে ‘হেলদি চায়না প্রমোশন কমিটি’–এর তরফে একটি অ্যাকশান প্ল্যান প্রকাশ করা হয়।
চিনা প্রশাসনের তরফে এই বিষয়ে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, চিনে ধুমপানের মাত্রা কমাতে হলে সরকার, সমাজ, পরিবার, সর্বোপরি প্রতিটি মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।চলতি বছরের প্রথম দিকে চিনা পার্লামেন্টে বদ্ধ জায়গায় ধুমপান করার ওপর দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রস্তাব আনা হয়।যারা ধুমপান করেন না, তাঁদের কথা ভেবেই জাতীয় আইন আনার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।