মুলায়ম সিংহ যাদবের প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন সিপিএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তবে এককালে সিপিএম-এরই এক সিদ্ধান্তের সমালোচনায় মুখর হয়েছিলেন মুলায়ম। অ-বিজেপি, অ-কংগ্রেসি রাজনীতির অন্যতম বড় মুখ ছিলেন মুলায়ম। ৯০-এর দশকে ইন্দ্র কুমার গুজরালের সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাও পালন করেছিলেন মুলায়ম। এহেন মুলায়মই চাইতেন জ্যোতি বসুকে প্রধানমন্ত্রী করতে।
মুলায়ম সেই ১৯৮৭ সালেই অ-বিজেপি, অ-কংগ্রেসি জোট গড়ার নীল নকশা তৈরি করেছিলেন। সেই বছর লখনউতে তৃতীয় ফ্রন্টের একটি বিশাল সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেখানে দেশের তাবড় তাবড় অ-বিজেপি, অ-কংগ্রেসি দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন সেই সমাবেশে। মুলায়মই সেই সভার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ১৯৮৭ সালের সেই সভাতেই জ্যোতি বসু তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন মুলায়ম।
পরে জ্যোতি বসুকে যখন সিপিএম প্রধানমন্ত্রী হতে দেয়নি, তখন মুলায়ম সেই সিদ্ধান্তকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ আখ্যা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘জ্যোতি বসুকে যদি তাঁর দল প্রধানমন্ত্রী হতে দিত, তাহলে দেশের অবস্থা অনেক ভালো হত। জ্যোতি বসুর মতো নেতা সবসময়ই পার্টি-লাইনের ঊর্ধ্বে। জ্যোতি বসু এই পদে থেকে যেভাবে কাজ করতেন, আগামীতে সেই কুর্সিতে বসা লোকেরাও তাই অনুসরণ করতেন।’
এদিকে আজকে মুলায়মের মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন করে সীতারাম টুইটে লেখেন, ‘সামাজিক ন্যায়বিচারের সংগ্রামে মুলায়ম সিংজির সঙ্গে অনেক স্মৃতি জড়িত।তাঁর চিন্তাভাবনা এবং চেতনার খুব প্রয়োজন আজকের ভারতে। কাজটি এখনও অসম্পূর্ণ। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তাঁর প্রতি আমাদের আন্তরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি।’ অপর এক টুইটে বাম নেতা লেখেন, ‘প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া মানুষের স্বার্থের চ্যাম্পিয়ন: শ্রী মুলায়ম সিং যাদবজি ভারতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে অবিচলভাবে লড়াই করেছেন। ভারতের ঐক্য ও অখণ্ডতাকে সমুন্নত রেখেছিলেন তিনি।’