করোনাভাইরাস মহামারীর সময় শেয়ার বাজারে জোরদার ধাক্কা খেতে হয়েছিল। আর পাঁচটা সংস্থার মতো ধসে গিয়েছিল শেয়ার। ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময় প্রতিটি শেয়ারের দাম ১৬ টাকার স্তরে নেমে গিয়েছিল। সেই অবস্থায় যাঁরা বিনিয়োগ করেছিলেন, তাঁরা আজ মালামাল হয়ে যাবেন। কারণ গত তিন বছরে ১,৪০০ শতাংশের বেশি উত্থানের সাক্ষী থেকেছে টিডি পাওয়ারের শেয়ারের দাম। রিটার্ন দিয়েছে ১৫ গুণ টাকা। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, দালাল স্ট্রিট বা শেয়ার বাজারে মিউচুয়াল ফান্ডের অন্যতম পছন্দের স্টক হল টিডি পাওয়ার (মাল্টিব্যাগার এনার্জি স্টক)। অর্থাৎ কেউ যদি তিন বছর আগে (যখন প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ১৬ টাকা) টিডি পাওয়ারের শেয়ারে এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করে থাকেন, সেক্ষেত্রে আজ তিনি ১৫ লাখ রিটার্ন পাবেন।
টিডি পাওয়ারের শেয়ারের দামের ইতিহাস
গত এক মাসে টিডি পাওয়ারের শেয়ারের দাম ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আবার শেষ ছয় মাসে ওই শেয়ারের উত্থান হয়েছে ৮০ শতাংশের মতো। ছয় মাস আগে ওই সংস্থার প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ১৩৫ টাকা। যা এখন বেড়ে ২৪৫ টাকায় ঠেকেছে। আবার বছরের শুরু থেকে টিডি পাওয়ারের শেয়ার ৯০ শতাংশের বেশি উত্থানের সাক্ষী থেকেছে। বছরের শুরুতে টিডি পাওয়ারের প্রতিটি টিডি পাওয়ারের শেয়ারের দাম ছিল ১২৭ টাকা। এক বছরে উত্থান হয়েছে ১৩০ শতাংশ। সেইসময় প্রতিটি শেয়ারের দাম ১০৬ টাকা। আর গত তিন বছরে ১৫ গুণের বেশি উত্থান হয়েছে টিডি পাওয়ারের শেয়ারের। তিন বছর আগে টিডি পাওয়ারের প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ১৬ টাকা।
বিনিয়োগকারীরা কত রিটার্ন পাবেন?
কেউ যদি এক মাস আগে টিডি পাওয়ারের শেয়ারে এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করে থাকেন, তাহলে তিনি ১.১৫ লাখ টাকা ফেরত পাবেন। কেউ যদি ছয় মাস আগে সেই পরিমাণ টাকা ঢেলে থাকেন, তাঁর প্রাপ্ত রিটার্ন ঠেকবে ১.৮ লাখ টাকায়। ২০২৩ সালের শুরুতেই এক লাখ টাকা লগ্নি করে থাকলে বিনিয়োগকারীরা ১.৯ লাখ টাকা রিটার্ন পাবেন। এক বছর আগে এক লাখ টাকা দিলে আজ ২.৩ লাখ টাকা ফেরত পাবেন। একইভাবে তিন বছর আগে যাঁরা এক লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন, তাঁরা ১৫ লাখ টাকা রিটার্ন পাবেন।
মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার হোল্ডিং টিডি পাওয়ারের শেয়ারহোল্ডিং প্যাটার্ন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ওই সংস্থায় মিউচুয়াল ফান্ডের ২,৩৭,৬৮,৭২১টি শেয়ার আছে। ইউটিআই ইনফ্রাস্ট্রাকচার্স ফান্ড, আইসনআইসিআই প্রুডেনশিয়াল ইনফ্রাস্ট্রাকচার্স ফান্ড, টাটা স্মল ক্যাপ ফান্ড, এইচএসবিসি ফ্লেক্সি ফান্ড এবং নিপ্পন ইন্ডিয়া স্মল ক্যাপ ফান্ডের বিনিয়োগ আছে।