বি.‌টেক ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ, ধারাল অস্ত্র ঠেকিয়ে নির্যাতন

ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করার পর ওই ব্যক্তি চম্পট দেয়। ঘটনাটি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। নাগপুরের হিঙ্গা থানার ইনস্পেক্টর বিশাল কালে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান। একই সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে দ্রুত ধরে ফেলা হবে বলেও জানিয়েছেন এই পুলিশ অফিসার। নির্যাতিতার বয়ান নিয়ে খোঁজ শুরু করা হচ্ছে।

ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ

এবার খোদ নাগপুরে এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল। ধারাল অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। কারণ ওই ছাত্রীটি কলেজ যাচ্ছিলেন। তখন তাঁর সামনে এসে পথ আটকায় এক আগন্তুক। তার হাতে ছিল ধারাল অস্ত্র। যা দিয়ে সে খুন করার হুমকি দেয়। তখন ভয় পেয়ে যান ওই ছাত্রী। এরপর তাঁকে নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে লাগাতার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।

এদিকে ওই ছাত্রী বি.‌টেক নিয়ে পড়াশোনা করতেন বলেন পুলিশ সূত্রে খবর। এদিন ওই ছাত্রী হেঁটে কলেজে যাচ্ছিলেন। তখনই এক ব্যক্তি ছাত্রীর সামনে ধারাল অস্ত্র নিয়ে এসে দাঁড়ায়। আর তাঁকে বলে, কথা না শুনলে খুন করে দেওয়া হবে। তখন ছাত্রীটি ভয় পেয়ে গেলে তাঁকে নির্জন জঙ্গলে নিয়ে যাওয়া হয়। আর সেখানে উপর্যুপরি ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ১৯ বছরের ওই তরুণীর বয়ান শুনে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আর ছাত্রীটির মেডিকেল পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নাগপুরের মতো জায়গায় এমন ঘটনা ঘটায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।

অন্যদিকে ওই ছাত্রী বি.‌টেক দ্বিতীয় বর্ষে পড়েন বলে খবর। তবে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শহরের থেকে অনেকটা ভিতরে। নাগপুরের হিঙ্গা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকেন নির্যাতিতা। সেখান থেকেই কলেজে যাচ্ছিলেন। পথে ঘটে গেল অঘটন। এই ব্যক্তি আগে থেকে তাঁকে অনুসরণ করছিল। তাঁর গতিবিধি লক্ষ্য করেই এই কাজ করেছে ওই অভিযুক্ত। তারপর কলেজ যাওয়ার পথে ধারাল অস্ত্র নিয়ে দাঁড়ায় ওই ব্যক্তি। তখন সেখানে লোকজন প্রায় ছিল না বললেই চলে। সেই সুযোগে নিকটবর্তী জঙ্গলে ছাত্রীকে টেনে নিয়ে যায় ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি। তার পর সেখানে লাগাতার ধর্ষণ করে। বারবার খুনের হুমকি দেওয়া হয় বলে পুলিশকে জানিয়েছে ছাত্রীটি।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ছাত্রীটিকে ধর্ষণ করার পর ওই ব্যক্তি চম্পট দেয়। ঘটনাটি নিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়। নাগপুরের হিঙ্গা থানার ইনস্পেক্টর বিশাল কালে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান। একই সঙ্গে ওই ব্যক্তিকে দ্রুত ধরে ফেলা হবে বলেও জানিয়েছেন এই পুলিশ অফিসার। নির্যাতিতার বয়ান নিয়ে খোঁজ শুরু করা হচ্ছে এবং নির্যাতিতার সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই অভিযুক্তের একটা বর্ণনা পাওয়া গিয়েছে। তার ভিত্তিতেই চলছে তল্লাশি।