আছে ৩ মেয়ে, ছেলের জন্য 'পীরের' কথায় পাকিস্তানে মহিলার মাথায় ঢোকানো হল পেরেক!

রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই নারী বলেছেন, তাঁর এলাকায় অন্য এক নারী মাথায় পেরেক ঠুকে ছেলের জন্ম দিয়েছিলেন।

তিন মেয়ে হয়েছে, ছেলের জন্য 'পীরের' কথায় পাকিস্তানে মহিলার মাথায় পেরেক!। (ছবি সৌজন্যে পেশোয়ার পুলিশ)

গর্ভবতী ওই নারীর বিশ্বাস ছিল, মাথায় পেরেক ঢোকালে তাঁর ছেলে হবে, মেয়ে নয়। তাই তিনি মাথায় পেরেক ঢুকিয়ে দেন।

পরপর তিনটি মেয়ে হয়েছিল তাঁর। চতুর্থ সন্তানও মেয়ে হওয়ার কথা ছিল। এই অবস্থায় ‘পীরের’ পরামর্শ মেনে ছেলে পেতে গিয়ে সোজা মাথায় পেরেক ঠুকে দেন এক নারী। তারপর হাসপাতালে গিয়ে সেই পেরেক বের করা হয়েছে। ভাগ্য ভালো, পেরেকটি তাঁর ব্রেন বা মস্তিষ্কে ঢোকেনি।

ওই নারী পেশোয়ারের বাসিন্দা। চিকিৎসক হায়দার সুলেমান ডন সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন, ওই নারী তাঁকে বলেছেন, তাঁর এলাকায় অন্য এক নারী মাথায় পেরেক ঠুকে ছেলের জন্ম দিয়েছিলেন। আল্ট্রাসাউন্ডে দেখা গিয়েছিল, তাঁর মেয়ে হবে। তারপরেও ছেলে হয়েছিল। তাই তিনিও একইরকমভাবে মাথায় পেরেক ঠুকেছিলেন।

পুলিশ জানিয়েছে, তাঁরা বিষয়টির তদন্ত করবে। বাড়ি থেকে পুলিশকে কিছু জানানো হয়নি। চিকিৎসকও কিছু জানাননি। এটা নিয়েও তদন্ত হবে।

স্বামীর হুমকি

ডন জানাচ্ছে, হাসপাতালের কর্মীরা বলেছেন, ওই নারীর স্বামী তাঁকে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, যদি এবারও মেয়ে হয়, তাহলে স্ত্রীকে পরিত্যাগ করবেন। কারণ, স্ত্রী ছেলের জন্ম দিতে পারছে না। এর আগে তিনটি মেয়ের জন্ম দিয়েছে। এবারও মেয়ে হবে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিতে অনেক দম্পতি, বিশেষ করে পুরুষরা সামাজিক ও আর্থিক সুরক্ষার কারণে ছেলে চান। এই অন্ধবিশ্বাস থেকে তাঁরা বেরিয়ে আসতে পারেননি।

ওই নারীর মাথায় পেরেক কে ঢুকিয়েছিল, তা এখনও জানা যায়নি। তবে চিকিৎসক জানিয়েছেন, মেয়েটির বাড়িতেই পেরেক ঢোকানো হয়েছিল। পরে তাঁরা পেরেকটি বের করতে পারেননি। তখন ওই গর্ভবতী নারীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

(বিশেষ দ্রষ্টব্য : প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)