টানা ১০ বছর ধরে স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে লালকেল্লা থেকে ভাষণ দিয়ে আসছেন নরেন্দ্র মোদী। এরই মধ্যে ১১তম বারও যে তিনিই লালকেল্লা থেকে ভাষণ দেবেন, জোর গলায় সেই কথাই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। উল্লেখ্য, আগামী বছর যতদিনে স্বাধীনতা দিবস আসবে, তার আগেই লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়ে যাবে। অর্থাৎ, ভোটে জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মোদী। এদিকে আজকের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মোদী ২৪-এর সুর বেঁধে দেন। বিরোধীদের একাধিক ইস্যুতে আক্রমণ শানান তিনি। তুলে ধরেন নিজের সরকারের কাজের খতিয়ান।
আজ মোদী বলেন, 'আমি ২০১৪ সালে এসে পরিবর্তনের বার্তা দিয়েছিলাম। ২০১৯ সালে আমাদের কাজের নিরিখে আপনারা আমাদের আশীর্বাদ দিয়েছিলেন। আমি আগামী বছরও স্বাধীনতা দিবসে দেশের উপলব্ধির কথা তুলে ধরব।' তাঁর কথায়, 'আমরা যখন ২০১৪ সালে সরকারে এসেছিলাম, তখন আমরা বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষেত্রে ১০ম স্থানে ছিলাম। আজ আমরা পঞ্চম স্থানে। আগের সরকারের সময় এত লাখ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছিল। এর জেরেই দেশের অর্থনীতিতে টালমাটাল অবস্থা দেখা গিয়েছিল।'
এদিকে আজকে নাম না করে প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদের তোপ দেগে বলেন, 'দুর্নীতি দেশকে শেষ করে দিয়েছে। পরিবারতন্ত্র দেশকে শেষ করে দিয়েছে। এই পরিবারতন্ত্র দেশের জনসাধারণকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। আর তুষ্টিকরণ আমাদের দেশের চরিত্র বদলে দিয়েছে। এই তিনটি বিষয়ের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই করতে হবে। আমাদের দুর্নীতি মুক্ত হতে হবে।' মোদী প্রশ্ন তোলেন, 'কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্বে শুধুমাত্র একটি পরিবার থাকতে পারে ?'
আজ মোদী বলেন, 'মা ভারতী আবার জেগে উঠেছেন। বিগত ৯-১০ বছরে আমি অনুভব করেছি। গোটা বিশ্ব ভারতের ওপর বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। ভারতের জ্যোতি দেখতে পাচ্ছে বিশ্ব। আমাদের সৌভাগ্য, আমাদের কাছে জনসংখ্যা, বৈচিত্র্য, গণতন্ত্র আছে। এই ত্রিবেণী ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।' মোদী বলেন, 'দেশের সাড়ে ১৩ কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে মধ্যবিত্তে পরিণত হয়েছে। এর জন্য তারা আবাস যোজনার সুবিধা পেয়েছেন। ২ লাখ কোটি খরচ করে সবার ঘরে জল পাঠানোর চেষ্টা করেছি। আয়ুষ্মান ভারতে ৭০ হাজার কোটি খরচ করে দেশের জনগণের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা হয়েছে।' মোদী বলন, 'আমি দেশের যুব সমাজকে বলতে চাই, এই দেশ আপনাদের আকাশপ্রমাণ সুযোগ দেবে। সুযোগের কোনও অভাব ভারতে হবে না। করোনার পর বিশ্বে নয়া গ্লোবাল অর্ডার তৈরি হয়েছে। ভারত গ্লোবাল সাউথের মুখ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বল এখন আমাদের কোর্টে। এখন এই সুযোগ আমাদের ছাড়লে হবে না।'