আজমল কাসভ কোথায় থাকত, তা ভারতকে জানিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টায় ২৬/১১ মুম্বইয়ের জঙ্গি হামলায় কার্যত ‘পাকিস্তানের যোগ’ স্বীকার করে নিলেন ইমরান খান সরকারের মন্ত্রী শেখ রশিদ।
ইমরানের উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠানে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতকে আজমল কাসভের ঠিকানা ইনিই (পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী) দিয়েছিলেন। কাসভ যে ফরিদকোটের বাসিন্দা, সেই ঠিকানা (ভারতকে) দিয়েছিলেন নওয়াজ শরিফ। এই কথাটা যদি মিথ্যা হয়, তাহলে উপযুক্ত শাস্তি দেবেন আমায়।’
পাকিস্তানের রাজনৈতিক অবস্থা
আপাতত ক্ষমতা হারানোর আশঙ্কায় আছেন ইমরান। গত সোমবার সংসদে ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন বিরোধী দলনেতা শেহবাজ শরিফ। জাতীয় সংসদের নিয়ম অনুযায়ী, মোট সংসদের ২০ শতাংশের ভোট পেলে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করার আর্জি গৃহীত হয়। অর্থাৎ প্রস্তাবের পক্ষে ৬৮ টি ভোটের দরকার ছিল। সেই প্রয়োজনীয় সংখ্যার থেকে ১০০-র বেশি ভোট পড়ে। ডেপুটি স্পিকার জানান, প্রস্তাব পেশের পক্ষে ভোট দেন ১৬১ জন সাংসদ। তারপর বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে পর্যন্ত জাতীয় সংসদের অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, ৩৪২ আসন বিশিষ্ট জাতীয় সংসদে ম্যাজিক ফিগার হল ১৭২। খাতায়কলমে ইমরানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সদস্য সংখ্যা ১৫৫। মুত্তাহিদা কউমি মুভমেন্ট, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-কায়েদ, বালোচিস্তান আওয়ামি পার্টি এবং গ্র্যান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের সদস্যদের মিলিয়ে জোট সরকারের মোট সদস্য সংখ্যা ছিল ১৭৯। তারইমধ্যে ২০ জনেরও বেশি সাংসদ শিবির বদল করেছেন। মুত্তাহিদা কউমি মুভমেন্ট ইমরানের সরকার থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে রীতিমতো চাপে পড়ে গিয়েছেন ইমরান।