ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং বা এনসিইআরটির এক সিদ্ধান্তে বই থেকে মুঘল ইতিহাসের অধ্যায় বাতিল হওয়া নিয়ে বেশ কিছু রিপোর্ট সামনে আসে। ঘটনা ঘিরে তুঙ্গে ওঠে বিতর্ক। এরপরই এনসিইআরটির প্রধান দীনেশ প্রসাদ সাকলানি বলেন, এমন তথ্য ‘মিথ্যা’। তিনি সাফ জানান, ‘মুঘল আমল নিয়ে (অধ্যায়) বাদ পড়েনি বই থেকে।’
এনসিইআরটির বইতে মুঘল আমলের ইতিহাস বাদ গিয়েছে, এমন ইস্যুতে বিতর্ক অযথা হচ্ছে বলে বার্তা দিলেন এনসিইআরটির ডিরেক্টর দীনেশ প্রসাদ সাকলানি। তিনি সাফ জানান, এই সমস্ত তথ্য মিথ্যা। দীনেশ প্রসাদ সাকলানি বলেন, ‘ এটা মিথ্যা কথা। মুঘলদের (অধ্যায়) সরানো হয়নি। কোভিডের কারণে গত বছর একটি যুক্তিগ্রাহ্য পন্থা নেওয়া হয়েছিল, সর্বত্র পড়ুয়াদের ওপর ছিল চাপ। ’ এই তর্ক বিতর্ক একেবারেই অযথা হচ্ছে বলে দীনেশ প্রসাদ সাকলানি বলেন, বিশেষজ্ঞ কমিটি সুপারিশ করেছিল, যদি ওই অধ্যায় সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে পড়ুয়াদের ওপর ‘অযথা চাপের বোঝা’ কেটে যাবে। সাকলানি বলছেন ‘যাঁরা জানেন না, তাঁরা চাইলে বই দেখে নিতে পারেন।’ তিনি জানিয়েছেন, ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী ‘আমরা কাজ করছি।’ দীনেশ প্রসাদ সাকলানি বলেন, ‘ এটা পরিবর্তনের সময়, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ বলে ভার কমানোর কথা। আমরা তা লাগু করছি। স্কুলগুলির জন্য ন্যাশনাল কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক শিক্ষাক্ষেত্রে তৈরি হচ্ছে, এটা খুব শিগগির চূড়ান্ত হবে। ২০২৪ সালে টেক্সট বুক প্রিন্ট করা হবে জাতীয় শিক্ষানীতি অনুযায়ী। আমরা এখনও কোনও কিথু সরাইনি।’
(সব কাজ নিখুঁত করতে গিয়ে চাপে ভোগেন? মহিলাদের এই স্বাস্থ্যগত সমস্যা আসলে কী! )
উল্লেখ্য, এর আগে জানা গিয়েছিল, দ্বাদশ শ্রেণিতে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যসূচিতে থাকা মুঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাস বই থেকে সরানো হচ্ছে। তবে সেই তথ্য মিথ্যা বলে জানানো হয়েছে এনসিইআরটির তরফে। উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে দ্বাদশ শ্রেণির ওই পাঠ্যসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক বলছেন, এনসিইআরটির বইতে যা থাকবে তাই পড়ানো হবে স্কুল পড়ুয়াদের।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup