'ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং' বা এনসিআরটি এবার খবরে। আরও একবার বিতর্কের আলোয় প্রতিষ্ঠান। এবার দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্য়সূচি থেকে একাধিক বিষয় বাদ যাওয়া নিয়ে দেশ জুড়ে বিতর্কের ঝড় উঠে গিয়েছে। সেখানে পর্যায় সারণি, গণতন্ত্রে চ্যালেঞ্জ শীর্ষক অধ্যায়, কৃষির অবদান অর্থনীতিতে সমেত বিভিন্ন বিষয় গিয়েছে বাদ। পাঠ্যসূচিতে এই কোপ নিয়ে বেশ কিছু মহল থেকে উঠছে সমালোচনার ঝড়। পাঠ্যসূচি থেকে এই অংশ বাদ যাওয়া নিয়ে সমালোচনার মাঝে কর্তৃপক্ষ নিজের অবস্থান স্পষ্ট করল। এনসিইআরটি কী জানাল দেখা যাক।
এনসিইআরটি জানিয়েছে, ‘কোভিড ১৯ অতিমারীকে নজরে রেখে পড়ুয়াদের ওপর থেকে পড়ার বোঝা কমানো দরকার হয়ে পড়েছিল।’ প্রতিষ্ঠান বলছে, নয়া শিক্ষানীতির লক্ষ্য হল, পড়ুয়াদের আরও বেশি উদ্ভাবনী শক্তি নিয়ে পরীক্ষামূলক ক্ষেত্রে সুযোগ দেওয়া। তারা বলছে, সমস্ত শ্রেণিরই পাঠ্যবই যাতে যুক্তিযুক্ত হয়, সেদিকে পদক্ষেপ করছে এনসিইআরটি।
টেক্সটবুকের পাঠ্যসূচির বোঝা যুক্তিযুক্তভাবে কমানোর ক্ষেত্রে যে সমস্ত পদক্ষেপ এনসিইআরটি নিয়েছে, তা নিয়ে তারা মুখ খুলেছে। একটি টুইটে তারা লিখেছে, যে সমস্ত বিষয় আগের শ্রেণিতে পড়ানো হয়েছে, বা একাধিক বিষয়ের মধ্যে একই কনটেন্ট থেকে যাচ্ছে সেগুলির ক্ষেত্রে পদক্ষেপ করা হয়েছে।
ফলে যে বিষয়গুলি ‘ওভারল্যাপিং’ হচ্ছে, সেগুলিতে পাঠ্যসূচি থেকে ছেঁটে ফেলা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এনসিইআরটি। এছাড়াও বর্তমান সময়ের সাপেক্ষে ‘পুরনো’ বিষয়গুলি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
এছাড়াও বইয়ের বাইরে থএকে যে সমস্ত বিষয় পড়ুয়ারা সহজেই হাতে পেয়ে যাবে নিজেদের পড়াশোনার মাধ্যমে বা বন্ধুদের মধ্যে আলোচনার সাপেক্ষে, সেগুলিকে পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞানে পর্যায় সারণির মতো বিষয় বাদ যাওয়া নিয়ে তুমুল হইচই শুরু হয়েছে। এনসিআরটি আগেই জানিয়েছে, এই বিষয়গুলি পরে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে চাইলে বিশদে পড়তে পারেন পড়ুয়ারা। তবে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে যে, যে পড়ুয়ারা একাদশ দ্বাদশে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করবেন না, তারা কীভাবে জানবে পর্যায় সারণির মধ্যে অধ্যায় সম্পর্কে?
এর আগে দশম শ্রেণিতে বিবর্তনবাদের অধ্যায়ে কোপ নিয়ে একাধিক বিতর্ক দানা বাঁধে। বিতর্ক ছিল মুঘল আমল ও গান্ধীজি সম্পর্কিত অধ্যায় ঘিরে এনসিআরটির পদক্ষেপেও।