কেরলে মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রায় ১০০ ছাত্রী সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন যে পরীক্ষায় উপস্থিত হওয়ার আগে তাঁদের ব্রা খুলতে বাধ্য করা হয়েছিল। বলা হচ্ছে, সিকিউরিটি চেক করার সময় ব্রা-এর মেটাল হুক মেটাল ডিটেকশন মেশিনে ‘বিপ’ করে। এরপর নিরাপত্তাকর্মীরা মেয়েদের তাঁদের ব্রা খুলে টেবিলেই রেখে পরীক্ষা হলে ঢুকতে বাধ্য করে। এক সংবাদমাধ্যমকে সেই বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথা জানান এক ছাত্রী।
সংবাদ চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাতকারে সেই ছাত্রী বলেন, ‘তারা আমাদের ডেকে বলল সিকিউরিটি স্ক্যান করা হবে। আমরা ভেবেছিলাম স্ক্যান করার পরে তারা আমাদের যেতে দেবে। কিন্তু তারা আমাদের দুটি সারিতে দাঁড় করিয়ে দেয়। - একটি সারিতে ছিলেন ধাতব হুকসহ ব্রা পরা মেয়েরা। তারা আমাকে জিজ্ঞেস করল, আপনি কি ধাতব হুক দেওয়া অন্তর্বাস পরেছেন? আমি হ্যাঁ বললে তারা সেই লাইনে যোগ দিতে বলে আমাকেও।’
ছাত্রী আরও বলেন, ‘তারা আমাদের ব্রা খুলে একটি টেবিলের উপর রাখতে বলল। সব ব্রা একত্রিত করা হয় সেখানে। আমরা জানতামও না যে আমরা ফিরে আসার পর আমরা আমাদের ব্রা ফিরে পাব কি না। আমরা যখন পরীক্ষা শেষে ফিরে এলাম তখন ভিড় ছিল। কিন্তু আমি আমার ব্রা খুঁজে পেয়েছিলাম। তারা বলে তোমার ব্রা হাতে নিয়ে চলে যাও, পরার দরকার নেই। কথাটা শুনে আমরা খুবই বিব্রত হয়েছিলাম। কিন্তু সবাই ব্রা পরার জন্য অপেক্ষা করে সেখানেই। সেখানে অন্ধকার ছিল এবং জামা পালটানোর কোনও জায়গা ছিল না... এটি একটি ভয়ানক অভিজ্ঞতা ছিল। আমরা যখন পরীক্ষা দিচ্ছিলাম, তখন আমরা আমাদের চুল সামনে রেখেছিলাম কারণ আমাদের নিজেদের ঢেকে রাখার জন্য কোনও শাল ছিল না... সেখানে ছেলে এবং মেয়েরা একসঙ্গে ছিল। এটা সত্যিই কঠিন এবং অস্বস্তিকর ছিল।’