করোনার ভয়াবহতা কাটিয়ে সবে মাত্র ধাতস্থ হচ্ছে গোটা পৃথিবী, এরই মাঝে হঠাৎ করে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাসের নতুন সংস্করণ। আবারও নতুন ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে আমেরিকা, ইজরায়েল, এবং ডেনমার্কে। বিজ্ঞানীরা এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের নাম দিয়েছেন 'বিএ.২.৮৬'। শুক্রবারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু (WHO) এবং মার্কিন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের থেকে জানানো হয়েছে এই ভ্যারিয়েন্টের উপরে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।
হু এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের ভাইরাস বহনকারী স্পাইক জিন মিউটেশনের সংখ্যা ৩০ টিরও বেশি বলে নিশ্চিত করেছে। যদিও 'বিএ.২.৮৬' কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে, বর্তমানে তা অজানা। তবে বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছেন বিগত ভ্যারিয়েন্টগুলির থেকে এই নতুন ভ্যারিয়েন্টটির সংক্রমক এবং মারণ ক্ষমতা অনেক বেশি। 'বিএ.২.৮৬' ভ্যারিয়েন্টটির উপর সর্বদা নজর রাখছেন বিজ্ঞানীরা। আপাতত ইজরায়েল, ডেনমার্ক ও আমেরিকার কয়েকটি জায়গা থেকেই নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এই তিনটি উপড়ে সতর্কমূলক দৃষ্টি রেখেছে এবং বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে দেশগুলোকে।
করোনার কালে অনেক দেশই ভাইরাসটির জন্য নজরদারির যে ব্যবস্থা স্থাপন করেছিল, বর্তমানে তাদের অনেকের মধ্যে করোনা সতর্কীকরণ নিয়ে গাছাড়া ভাব লক্ষ্য করা গিয়েছ। করোনা পরবর্তীকালে দেশগুলির এই উদাসীনতার তীব্র নিন্দা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বর্তমানের দেশগুলিকে শক্তিশালী পর্যবেক্ষণের আহ্বান জানিয়েছে হু। ১৭ জুলাই থেকে ১৩ আগস্টের পর্যন্ত হু-এর শেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১.৪ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ নতুন করে আক্রান্ত বলে সনাক্ত করা হয়েছে। ২,৩০০ জনেরও বেশি মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট নতুন করে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে চিকিৎসক মহলে। কোভিড-১৯-এর বৈশিষ্ট্যগুলি সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তিত হয়। ফলে এর ওপর আগের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়েও চিন্তিত বিশেষজ্ঞ মহল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভ্যারিটেন্টের উপসর্গের উপরে বিশেষ নজর রেখেছে এবং চিকিৎসকদের সতর্ক থেকে চিকিৎসা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।