ফের বিতর্কে জড়ালেন বিহারের মুখ্য়মন্ত্রী নীতীশ কুমার। দলিত নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতেন রাম মাঝিকে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে তীব্র কটাক্ষ করে তিনি বিতর্ক কার্যত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আসলে জিতেন রাম মাঝি জানিয়েছিলেন যে দলিতদের উন্নতির জন্য সংরক্ষণ করাটাই একমাত্র পথ, সেটা নয়।
এরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন নীতীশ কুমার। তিনি বলে বসেন, ২০১৪ সালে মাঝিকে মুখ্যমন্ত্রী করার বোকামি করেছিলাম। এদিকে পালটা মাঝি বলে ওঠেন, যে ভাষা আমার সম্পর্কে নীতীশ জী প্রয়োগ করেছেন তাতে বোঝা যাচ্ছে যে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন মুখ্য়মন্ত্রী আমাকেই টার্গেট করছেন কারণ আমি ভুঁইয়া মুসাহার সম্প্রদায় থেকে এসেছি। আমি গরিব ও দুর্বল সম্প্রদায় থেকে এসেছি। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন নীতীশজীর যদি এতটাই পৌরুষত্ব থাকে তবে তিনি জেডিইউ সর্বভারতীয় প্রধান লালন সিংয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলুন। কারণ তিনি হলেন উচ্চবর্গীয় ভূমিহার সম্প্রদায়ের।
এখানেই থামেননি জিতেন রাম। তিনি জানিয়েছেন, তিনি নীতীশ কুমারের থেকে বড়। তাঁর বয়সও বড়। বিধানসভার অভিজ্ঞতাও তাঁর বেশি। আমি ১৯৮০ সালে বিধায়সভায় এসেছিলাম। আর নীতীশজী পাঁচ বছর পরে এসেছেন।
এদিকে নীতীশ কুমারও ক্রমাগত জিতেন রাম মাঝিকে নিশানা করে কাদা ছুঁড়তে শুরু করেন। এমনকী মন্ত্রী বিজয় চৌধুরী তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি কিছুতেই শান্ত হননি।
এদিকে এই ঘটনার জেরে বিহারের রাজনীতির অন্দরে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বিজেপি ইতিমধ্য়েই নীতীশ কুমারের পদত্যাগ দাবি করেছেন। বিজেপি নেতা সুশীল মোদীর দাবি, নীতীশ কুমার তাঁর মানসিক স্থিরতা হারিয়ে ফেলেছেন। তিনি রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী হিসাবে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। তিনি প্রথমে মহিলাদের সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করেছেন। এবার তিনি মাঝিকে অপমান করলেন। মাঝি নিজে মহাদলিত সম্প্রদায় থেকে এসেছেন। তিনি বরং এবার তাঁর সহযোগী তেজস্বী যাদবের হাতে সিএমের চেয়ার তুলে দিয়ে রাজনীতি থেকে অবসর নিন।
তবে বাস্তবিকই নীতীশ কুমার কেন বার বার এভাবে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। বিহারের রাজনীতিতে যেন একের পর এক ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিতর্ককে উসকে দিচ্ছেন তিনি।