প্রশ্ন: আমার বয়স ৫৬ বছর। আমি ১৯৮৬ সালের অক্টোবর মাস থেকে কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের (ইপিএফ) সদস্য হয়েছি। সেই সময় থেকে টানা ৩১ বছর ধরে আমি একটি সংস্থাতেই কাজ করেছি। এরপর অন্য একটি সংস্থায় যোগদান করি। তার মাঝে ৪৫ দিনের জন্য বেকার ছিলাম। নতুন সংস্থায় ৩ বছর কাজ করার পরে আমি চলতি বছর মার্চে পদত্যাগ করেছি। আমি আমার কর্পাসটি প্রথম সংস্থা থেকে দ্বিতীয়টিতে স্থানান্তরিত করেছি, যেখানে পিএফ একটি ট্রাস্ট দ্বারা পরিচালিত হয়।
এখন আমার প্রশ্ন, আমি যদি অন্য কোনও কাজে যোগদান না করি তবে আমি কতদিন পর্যন্ত আমার কর্পাসকে শেষ কাজ করা সংস্থার কাছে রাখতে পারি? নিয়োগকর্তা আমাকে তাত্ক্ষণিকভাবে টাকা তুলতে বাধ্য করতে পারেন? আমি কি টাকা জমা না করেই ৩৬ মাস ধরে ফান্ডটা রাখতে পারি? সর্বোপরি, সেই টাকায় কি সুদ পাব?
-শ্রীনিবাস
উত্তর: পিএফ আইনের নিয়ম অনুযায়ী, আপনার অন্তিম কর্মপ্রতিষ্ঠানে পিএফ অ্যাকাউন্ট চালু রাখার জন্য কোনও সর্বোচ্চ সময়সীমা নেই। তবে, যখন কোনও কর্মী ৫৫ বছর বয়সের পর চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন বা স্থায়ীভাবে বিদেশ চলে যান বা গত হন এবং ৩৬ মাসের মধ্যে তাঁর জমা হওয়া ব্যালেন্সের টাকা তুলতে আবেদন না করা হয়, সেক্ষেত্রে নতুন করে কোনও সুদ জমা পড়ে না। অ্যাকাউন্টটি ইনঅপারেটিভ ধার্য হয়।
অন্যথা, পিএফ-এ সুদ জমা হতে থাকবে। আপনার ক্ষেত্রে, আপনি ৫৫ বছরের বেশি বয়সে চাকরি ছেড়েছেন এবং তারপর থেকে অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা জমা পড়েনি। অতএব, ইস্তফা দেওয়ার তারিখ থেকে ৩৬ মাস পর্যন্ত আপনার পিএফ অ্যাকাউন্টে সুদ জমা পড়বে।
এ ক্ষেত্রে জানিয়ে রাখি, আপনার কর্পাসটি আপনার নিয়োগকারী সংস্থার পিএফ ট্রাস্টের অধীনস্থ। ফলে সেই ট্রাস্টের এই সংক্রান্ত নিয়মাবলী আপনার ক্ষেত্রে কী কী প্রভাব ফেলতে পারে সে সম্পর্কে মন্তব্য করতে আরও পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।
এবিবাহিত/অবিবাহিত মেয়েদের তাঁদের মা-বাবাকে দেওয়া উপহার কি করের আওতায় পড়বে?
- বিনোদ কুমার
যখন অভিভাবকরা সন্তানের কাছ থেকে উপহার পান, তখন তাঁদের এবং সন্তান উভয়ের ক্ষেত্রেই কোনও আয়কর সংক্রান্ত প্রভাব পড়ে না।
তবে, দুই পক্ষের ক্ষেত্রেই আইনি প্রমাণ হিসাবে দামি উপহারের হিসাব নথিভুক্ত করে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এছাড়াও, উপহারের দামের উপর ভিত্তি করে স্ট্যাম্প ডিউটির বিষয়টিও আলাদাভাবে পরীক্ষা করার প্রয়োজন হতে পারে।
পরামর্শদাতা পারিজাদ সিরওয়ালা কেপিএমজি-র প্রধান, ট্যাক্স বিশেষজ্ঞ।