কোটায় শিশুমৃত্যু দায় পূর্বতন সরকারের উপর চাপালেও উলটো সুরে গাইলেন রাজস্থানের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট। তাঁর মতে, সংকটের সামনে দাঁড়িয়ে অতীতকে দোষারোপ করা অর্থহীন।
রাজস্থানের কোটায় হাসপাতালে ১০৪টি শিশুর মৃত্যু কেন্দ্র করে অভিযোগের আঙুল উঠেছে রাজ্যের কংগ্রেস সরকারের গাফিলতির দিকে। তার মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট জানিয়েছেন, বর্তমানে রাজ্যে শিশুমৃত্যুর হার সর্বনিমম্ন একই সঙ্গে পূর্বতন বিজেপি সরকারের উপরে তিনি এই সমস্যার দায় চাপিয়ে সমালোচনার ঝাঁঝ বাড়িয়েছেন। পরিস্থিতি দেখে গেহলটকে দিল্লি তলব করে তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠিয়েছেন কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী সভাপতি সনিয়া গান্ধী।
বিরোধী বিজেপি এবং সমাজবাদী পার্টি সুপ্রিমো মায়াবতী গেহলটের এই মন্তব্য ‘অসংবেদনশীল’ হিসেবে নিন্দা করেছেন। তবে তাতে যে বিশেষ হেলদোল হয়নি প্রশাসনের, তা বোঝা গিয়েছে রাজস্থানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রঘু শর্মার পালটা অভিযোগে। মুখ্যমন্ত্রীর পথে হেঁটেই তিনি শিশুমৃত্যু বৃদ্ধির দায় পূর্বতন বিজেপি সরকারের কাঁধেই চাপিয়ে দায়িত্ব সেরেছেন।
শনিবার একেবারে উলটো পথে হেঁটে শিশুমৃত্যু নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন রাজস্থানের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলট। তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, এই সমস্যার মুখে দাঁড়িয়ে আমাদের উত্তর আরও সমবেদনাপূর্ণ হওয়া উচিত ছিল। ১৩ মাস ক্ষমতায় থাকার পরে পূর্বতন সরকারের অপকর্মকে দোষারোপ করা অর্থহীন। দায়বদ্ধতায় অটল থাকতে হবে।’
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত পরিকাঠামো ছাড়াই জে কে লোন হাসপাতাল চালানো হচ্ছে, যেখানে ডিসেম্বর মাসের গোড়া থেকেই শিশুমৃত্যু হারে অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেখা দিয়েছে। সমস্যা দেখা দেওয়ার পরেও হাসপাতালে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী একবারও না যাওয়ায় সমালোচনার পারদ চড়েছে। বাধ্য হয়ে গত শুক্রবার ওই হাসপাতাল ঘুরে দেখেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী রঘু শর্মা। পরে কোটা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বিজয় সারদানা ও জে কে লোন হাসপাতালের সুপার সুরেশ চন্দ দুলারার সঙ্গে বৈঠকে বসেন মন্ত্রী।
শিশুমৃত্যু নিয়ে রাজস্থান সরকারের উদাসীনতার তীব্র সমালোচনা করেছেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাও। রাজ্যের হাসপাতালগুলির পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ৫০ লাখ টাকার যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম দেওয়ার প্রতি।শ্রুতিও তিনি দিয়েছেন।