ট্রেনে নানা বিপত্তির ঘটনা যেন পিছু ছাড়ছে না কিছুতেই। এবার অল্পের জন্য় রক্ষা পেল ট্রেন। বিরাট বিপর্যয় হতে পারত। এর পেছনে নাশকতার কোনও ঘটনা রয়েছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রেলসেতুতে থাকা একের পর এক নাট বল্টু খোলা ছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু করল কারা? তার থেকে সব থেকে বড় কথা ঠিক কী হয়েছে ঘটনাটি?
ঝাড়খণ্ডের সুবর্ণরেখা রেলসেতু। তার উপর দিয়েই ঝাড়খণ্ডের হাতিয়া-রৌরকেল্লা রেললাইন। তার উপর দিয়ে নিয়মিত ট্রেন চলাচল করে। বেশ গুরুত্বপূর্ণ এই রুট। এদিকে সেই সেতুরই অন্তত তিনটি নাটবোল্ট খোলা ছিল বলে অভিযোগ। একটা দুটো নয়, অন্তত তিনটি নাটবোল্ট খুলে ফেলা হয়েছিল। তবে কি নাশকতার উদ্দেশ্য়ে এই নাটবোল্ট খুলে ফেলা হয়েছিল? সেই প্রশ্নের উত্তর মেলেনি এখনও। তবে গোটা ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠছে। এদিকে অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেল ট্রেন। কারণ এই পথে ট্রেন গেলে বড় কোনও দুর্ঘটনা হতে পারত। কিন্তু তার আগে এই নাটবল্টু খুলে থাকার বিষয়টা জানতে পেরে যান রেলকর্মীরা। দ্রুত সেগুলি মেরামত করা হয়।
আপাতত রেলের তরফে একটি এফআইআর করা হয়েছে। সেখানে অবশ্য সরাসরি কারোর নাম উল্লেখ করা হয়নি। সেখানে কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির নাম করে এফআইআর করা হয়েছে। তবে গোটা ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। তবে কি এবার রেলসেতুর দিকে নজর দিয়েছে দুষ্কৃতীরা?
আসলে ওড়িশার বালাশোরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পরে রেলযাত্রীদের সুরক্ষা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গত ২ জুনের সেই ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও অনেকের মন থেকে ফিকে হয়নি। তার মধ্য়ে ফের বড় আশঙ্কার খবর এল ঝাড়খণ্ড থেকে। রেলসেতুর উপর খোলা ছিল নাট বল্টু। তবে সময়মতো সেই ভয়াবহ ঘটনা যদি চোখে না পড়ত তবে যে কী হত তা ভাবতেই শিউরে উঠছেন সাধারণ রেলযাত্রীরা।