আপত্তিকর ভিডিয়ো ভাইরালে চরম বিতর্কে জড়ালেন পড়শি রাজ্যের মন্ত্রী। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বান্না গুপ্তার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় রবিবার সন্ধ্যায়। ২১ সেকেন্ডের এই আপত্তিকর ভিডিয়োতে বান্না গুপ্তাকে একজন মহিলার সঙ্গে অশ্লীল কথা বলতে দেখা গিয়েছে। রবিবার রাতে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ভিডিয়োটি টুইট করেছেন এবং কংগ্রেস নেতাদের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এদিকে ভিডিয়ো ইস্যুতে মন্ত্রী বান্না গুপ্তা এফআইআর করেছেন। এই ইস্যুতে এসএসপিকে একটি চিঠিও লিখেছেন তিনি। পুরো বিষয়টিকে বিরোধীদের ষড়যন্ত্র বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। যদিও বিরোধী বিজেপি মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ভিডিয়োটিকে 'ভুয়ো' আখ্যা দিয়ে জামশেদপুর সাইবার থানায় এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের মন্ত্রীর দাবি, ভিডিয়োটি এডিট করে তাঁর মুখে অশ্লীল কথা বসানো হয়েছে। তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্র। 'হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা' এই ভাইরাল ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি। এদিকে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ভিডিয়োটি টুইট করে লিখেছিলেন, ‘এটাই কংগ্রেসের চরিত্র, এটি ঝাড়খণ্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বান্না গুপ্তাজির ভিডিয়ো। মহিলাদের সম্মান নিয়ে খেলা করা, কংগ্রেস কর্মী সুশীল শর্মার স্ত্রীকে তন্দুরে পুড়িয়ে মারা, এটাই কংগ্রেস নেতাদের কাজ। গান্ধী পরিবার যদি বুঝতে পারত।’
এদিকে ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পরেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী পূর্ব সিংভূমের এসএসপি প্রভাত কুমারকে চিঠি লেখেন। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এই ভিডিয়ো বানানো হয়েছে। এই আবহে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করতে বলেছেন তিনি। চিঠিতে তিনি জানান, তিনি কোথাও থেকে তথ্য পেয়েছেন যে তাঁর চেহারা বসিয়ে কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তি এই অশ্লীল ভিডিয়োটি ভাইরাল করেছে। এ ঘটনায় সাইবার সেলকে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা করার দাবি জানান তিনি। এরপর রাত ১০টার দিকে বিষ্টুপুর সাইবার থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৯, ৫০০ এবং আইটি আইন, ২০০৮-এর ৬৬(সি), ৬৬(ই), ৬৭ এবং অন্যান্য ধারায় এই মামলা করা হয়েছে। এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইন্সপেক্টর দীপককে।
ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পরেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বান্না গুপ্তা একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন যে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, 'রাজ্যের কিছু বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিরোধীরা একটি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে ইচ্ছাকৃতভাবে এই ভিয়ো এবং এডিট করা ভিডিয়ো ভাইরাল করেছেন। ভিডিয়োতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে ফটোশপ বা অন্য কোনও এডিটিং অ্যাপ ব্যবহার করা হয়েছে। আমি এর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছি।' এদিকে পূর্ব সিংভূমের এসএসপি প্রভাত কুমার জানিয়েছেন, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বান্না গুপ্তার চিঠি পওয়ার পর বিষ্টুপুরের সাইবার থানায় একটি এফআইআর করা হয়েছে। পুরো বিষয়টির গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে পুলিশ।