দিল্লিতে একটি বাসে এক মহিলা যাত্রীর সামনে গোপনাঙ্গ প্রদর্শন করার অভিযোগে ডিটিসি মার্শালদের হাতে ধরা পড়ল বিহারের এক ব্যক্তি। অশ্বিনী শ্রীবাস্তব নামের এক টুইটার ব্যবহারকারী তাঁর টুইটার এবং ইউটিউব অ্যাকাউন্টে ঘটনার একটি ভিডিও পোস্ট করেন এই ঘটনার। সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনাটি নিয়ে চর্চা শুরু হয়। ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভাইরাল ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে ভুক্তভোগী এক মহিলা বাসযাত্রী পুরুষটির বিরুদ্ধে অশ্লীল কাজের অভিযোগ করছেন।
এদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তি ধরা পড়ার পরে কান্নায় ভেঙে পড়ে। তারপরে নিজের নাম পরিচয় প্রকাশ করে সে জানায়,আদতে সে বিহারের বাসিন্দা। নাম জাকির। বর্তমানে দিল্লির রাজৌরি গার্ডেনে থাকে সে। ডিটিসি মার্শাল জাকিরকে ধরে পুলিশকে ফোন করেন। তিনি জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে দিল্লিতে এই ধরনের ঘটনা ঘটায় ফের চর্চা শুরু হয়েছে নির্ভয়া কাণ্ড নিয়ে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে দিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের পরে এক তরুণীর উপরে নৃশংস অত্যাচার চালানো হয়েছিল। নির্যাতিতার সঙ্গীকে বেধড়ক মারধর করেছিল ৬ দোষী। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে দক্ষিণ দিল্লির সাকেতের এক সিনেমা হলে ‘লাইফ অফ পাই’ ছবি দেখে ফিরছিলেন নির্ভয়া নামে পরিচিত তরুণী এবং তাঁর পুরুষ সঙ্গী। বাড়ি ফেরার জন্য কোনও গণপরিবহণ না পেয়ে শেষে মুনিরকা বাস স্ট্যান্ড থেকে একটি বেসরকারি বাসে তাঁরা উঠে পড়েন। বাসে উঠে তাঁরা চালকের কেবিনে চার জন এবং বাসের ভিতরে দুই জনকে বসে থাকতে দেখেন তাঁরা।
বাস বিমানবন্দরের কাছাকাছি পৌঁছলে চালকের কেবিন থেকে তিন জন বেরিয়ে এসে বাসের পিছনে এসে বসে। তরুণীর বন্ধুর সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয় তাদের। এরপর মারামারি শুরু হয়। বন্ধুকে বাঁচাতে তরুণী এগিয়ে এলে তাঁকে ধাক্কা মেরে পিছনের আসনে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর যুবককে মারধর করার ফাঁকে তরুণীকে একে একে ধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। লোহার রড যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে তরুণীর দেহের ভিতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ উপড়ে ফেলা হয়। পরে বিবস্ত্র অবস্থায় তাঁদের মহীপালপুর ফ্লাইওভারের কাছে ফেলে দিয়ে পালায় ৬ দুষ্কৃতী। পরে তরুণীর মৃত্যু হয়। এরপর দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ফাঁসি হয় অভিযুক্তদের।