হরিদ্বারের বিদ্বেষমূলক ভাষণ ইস্যুতে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছে। ধর্মসংসদের মঞ্চে খোলাখুলি উস্কানিমূলক বক্তব্যের অভিযোগে তদন্তে নেমে একাধিক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ইস্যুতে দেশের সুধী সমাজের তরফেও একের পর এক চিঠি গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এবার এই ইস্যু নিয়ে সীমান্ত পার থেকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সরব হলেন। উল্লেখ্য, পাকিস্তান আপাতত সেদেশের মুরিতে সদ্য ঘটে যাওয়া এক দুর্ঘটনা ঘিরে রীতিমতো বিধ্বস্ত। বহুবিধ কারণে কোণঠাসা হয়ে রয়েছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তবে তার মাঝেও সোমবার তিনি টুইটারে ভারতের হরিদ্বার প্রসঙ্গ তুলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করেন।
হরিদ্বারের বিদ্বেষমূলক ভাষণ ইস্যুতে মোদী সরকারের 'চলতে থাকা নীরবতা' নিয় প্রশ্ন তোলেন ইমরান খান। নিজের টুইটে তিনি ডিসেম্বর মাসে উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে বিদ্বেষমূলক বার্তার প্রসঙ্গ তোলেন ইমরান। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করেন ২০০ মিলিয়ন মুসলিম জনবসতি নিয়ে। তাঁর টুইট বার্তায় উঠে আসে ভারতীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার প্রশ্নও। হরিদ্বারের এই গোটা ইস্যুতে মোদী সরকারের পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন তুলতে ছাড়েননি ইমরান খান। 'সংখ্যালঘু গণহত্যা' ইস্যুতে দক্ষিণপন্থী সংগঠনের ডাক নিয়েও নিজের পোস্টে ইমারন টার্গেটে রাখেন মোদীকে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের অভ্যন্তরে একাধিক আর্থিক সংকট থেকে প্রশাসনিক দুর্নীতি ঘিরে যখন ইমরান সরকার জেরবার, ঠিক তখনই এসেছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর এই টুইট। ইমরান নিজের টুইটে বিজেপি সরকারের 'আদর্শ' নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। ইমরান লেখেন 'বিজেপি সরকারের চরমপন্থী আদর্শ রয়েছে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে এই উস্কানির নেপথ্যে।' পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এই ইস্যুতে নিজের টুইটে আন্তর্জাতিক মহলের কাছে আবেদন করেন, যাতে তাঁরাও এই ইস্যুটি নিয়ে সরব হয়। আরও একটি পোস্টে সরাসরি ভারতের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়ে ইমরান খান লেখেন, 'মোদী সরকারের চরমপন্থা বর্তমানে আমাদের এলাকার শান্তিকে ভঙ্গ করছে।'