চলতি বছরের অগস্ট মাসে দশ বছরের বেশি বয়েসি প্রতি ১৫ জনের মধ্যে একজন ভারতীয় নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এমনই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে আইসিএমআর-এর দ্বিতীয় সেরো সার্ভে রিপোর্টে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘মোট ২৯,০৮২ ব্যক্তির মধ্যে দশ বছরের বেশি বয়েসিদের ক্ষেত্রে সংক্রমণের হার দেখা গিয়েছে ৬.৬%। বয়স, লিঙ্গ ও পেশা ব্যতিরেকে রক্তের সেরামে উপস্থিত জীবাণুর পরিমাণে কোনও তফাৎ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে সেরামে উপস্থিত জীবাণু মিলেছে শহরের বস্তি অঞ্চলে। এর পরেই রয়েছে শহরের অন্যান্য এলাকা এবং গ্রামাঞ্চলে। আমাদের হিসেবে গোটা দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা ৭.৪৩ কোটি।’
আইসিএমআর-এর প্রথম জাতীয় সেরো সার্ভে করা হয় ১১ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত। ০.৭৩% মানুষের সেরামে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
দ্বিতীয় সেরো সার্ভে করা হয় অগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে মোট ২৯, ০৮২ জনের উপরে। মোট ৭০০ গ্রাম থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কোভিড সংক্রমণের জেরে মৃত্যুর হার ০.০৯% থেকে ০.১% এর মধ্যে।
সমীক্ষা অনুযায়ী, বেশ কিছু পরিমাণ কোভিড রোগীর মধ্যে মৃদু উপসর্গ বা উপসর্গের উপস্থিতি নেই। সেরোপজিটিভ রোগীর মধ্যে মাত্র তিন শতাংশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোভিড উপসর্গ দেখা গিয়েছে।
আবার শহরাঞ্চল থেকে গ্রামীণ এলাকায় সংক্রমণের চারিত্রিক পরিবর্তন হতেও দেখা গিয়েছে আইসিএমআর-এর সমীক্ষায়। সেই কারণে নমুনা পরীক্ষার হার বাড়ানোয় জোর দিয়েছেন আইসিএমআর-এর প্রাক্তন প্রধান ললিত কান্ত।
পাশাপাশি, ভারতে কোভিড অতিমারীর গতি-প্রকৃতি নির্ধারণ করতে আরও সেরাম ভিত্তিক সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিএমআর।