করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে জারি হয়েছে আংশিক বা পূর্ণাঙ্গ লকডাউন। এই আবহে একমাস আগেই বিগবাজার তাদের 'দুই ঘণ্টা'র ডেলিভারি পরিষেবা চালু করেছিল মুম্বই, বেঙ্গালুরু এবং দিল্লিতে। পরে সেটি দেশের ১৫০টি শহরে চালু করা হয়। আর এরপরই দেশের দ্বিতীয় সারির শহরগুলিতে বেড়েছে বিগবাজারের ব্যবসা। ডেলিভারি পরিষেবার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ফলেই ব্যবসা বেড়েছে বিগবাজারের। ভোপাল, ম্যাঙ্গালোর, লখনউ, রাঁচি, কানপুর, গাজিয়াবাদ ও বারাণসীতে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে বিগবাজারের ব্যবসা।
এদিকে হোমডেলিভারির থেকে ব্যবসা বাড়লেও স্টোরগুলিতে ব্যবসা কমেছে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ। করোনার বাড়বাড়ন্তের মাঝে সাধারণ মানুষ অনলাইন শপিং বা পাড়ার দোকান থেকে জিনিস কিনছে। শপিংমলে গিয়ে সেভাবে স্টোর থেকে জিনিস কিনছে না ক্রেতারা।
এই আবহে ফিউচার গ্রুপের মার্কেটিং এবং ই-কমার্সের আধিকারিক পবন সারদা বলেন, 'আমার মনে হয় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ব্যবসা দ্বিতীয় সারির শহর থেকে হচ্ছে। আমরা বুঝতে পারছি যে মানুষ এই আবহে বাড়ি থেকে বের হতে চাইছে না। তাই হোমডেলিভারির পরিমাণ বাড়ছে।'
তিনি আরও বলেন, 'বর্তমানে দৈনিক ৬০ হাজার হোমডেলিভারি করছি আমরা। এই মাসের শেষে সেই সংখ্যাটা আমরা ১ লক্ষে নিয়ে যেতে চাই। আমরা চাই যাতে প্রতিটি স্টোর ৪০০-৫০০টি ডেলিভারি করছে। খাদ্য সামগ্রী ছাড়াও বহু জিনিস অর্ডার দিচ্ছেন গ্রাহকরা। গড়ে প্রতিটি অর্ডার ১৪০০ টাকার হয়।' উল্লেখ্য, দেশজুড়ে বিগবাজারের ২৯০টি স্টোর রয়েছে। হোমডেলিভারির ক্ষেত্রে অ্যামাজন, বিগ বাস্কেট, ফ্লিপকার্ট এবং গ্রফারসের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।