ভারত-পাকিস্তানকে কোনও এক নির্দিষ্ট ইস্যুতে একমত হলে খুব কমই দেখা যায়। তবে ইউক্রেন ইস্যুতে ভারতের অবস্থানকেই অনুসরণ করতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানকে। সম্প্রতি রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের একটি প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ভোটদান থেকে বিরত থাকে ভারত। পাকিস্তান সহ আরও ১১টি দেশও এই ক্ষেত্রে ভোটদান থেকে বিরত থাকে। এদিকে চিন এবং ইরিত্রিয়া একমাত্র দুটি দেশ যারা ৪৭ সদস্যের এই সংস্থায় প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে।
ভারত অতীতে ইউক্রেনে হামলার বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা প্রস্তাবগুলির প্রেক্ষিতে ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে। তবে ভারত ভোটাভুটির আগে অনুষ্ঠিত হওয়া আলোচনায় অংশ নিয়ে নিজেদের বক্তব্য স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরেছিল প্রতিবারই। ভারতের সাফ কথা, ইউক্রেনের মানুষের মানবাধিকারের সম্মান ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। এই আবহে গতকালও ভারত মানবাধিকারের পক্ষে বিশ্বব্যাপী প্রচারের ডাক দেয় এবং সুরক্ষার প্রতি প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।
উল্লেখ্য, গতকাল রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনে পেশ হওয়া প্রস্তাবে বলা হয়, ইউক্রেনের কিয়েভ, খারকিভ, চেরনিহিভ এবং সুমি শহরে রাশিয়ার দ্বারা সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্তের জন্য যে তদন্ত কমিশন ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত রয়েছে, সেটিকে অতিরিক্ত কিছু আদেশ দেওয়া হবে। এই প্রস্তাবের পক্ষে ৩৩টি ভোট পড়ে, যার কারণে এটি পাস হয়। এই রেজোলিউশনে আরও বলা আছে যাতে রাশিয়া আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিকে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এলাকা থেকে আম জনতাকে সরাতে দেয় এবং রাশিয়ার ভূখণ্ডে বসবাসকারী ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের কাছে বিনা বাধায় পৌঁছে যেতে পারে। যদিও মস্কো দাবি করেছে যে রাশিয়ায় বসবাসকারী ইউক্রেনীয়রা তাদের নিজেদের ইচ্ছায় রাশিয়ায় প্রবেশ করেছিল।
এদিকে এর আগে মার্চ মাসে যখন কাউন্সিলে তদন্ত কমিশন গঠনের প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল, তখনও ভারত ভোটদানে বিরত ছিল। তবে, ভারত বুচায় অসামরিক মানুষের হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছিল এবং স্বাধীন তদন্তের আহ্বানকে সমর্থন জানিয়েছিল। উল্লেখযোগ্যভাবে, চিনও সেবার ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল। কিন্তু এবার তারা এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে যে। বেজিংয়ের বক্তব্য, এটি ভারসাম্যপূর্ণ বা উদ্দেশ্যমূলক নয় এবং এতে উত্তেজনা বাড়বে।