দেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আর্থিক বিপত্তির মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান। সেদেশে আর্থিক বিপত্তি কাটাতে একের পর এক চেষ্টা চালিয়েও কোনও লাভের মুখ দেখেনি শাহবাজ সরকার। এদিকে, আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের (আইএমএফ) কাছে তারা সাহায্যের জন্য হাত পেতেছে সদ্য। সেই আইএমএফও এমন এক শর্ত দিয়েছে, যা মানতে নারাজ ইসলামাবাদ। এই পরিস্থিতিতে দুই পক্ষের আলোচনা নতুন করে থমকে গিয়েছে বলে খবর।
আর্থিক সংকট থেকে বের হতে আইএমএফের দ্বারস্থ হওয়া পাকিস্তান, আইএমএফের শর্ত ঘিরে ইতিমধ্যেই বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে। এদিকে, দুই তরফের আলোচনাতেও ফের ফাঁক ফোঁকড় দেখা যাচ্ছে। এমনই তথ্য উঠে এসেছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ডন’এর তরফে। জটিলতা তৈরি হয়েছে MEEP নিয়ে। পাকিস্তানের এক সিনিয়র সরকারি অফিসার জানিয়েছেন, ‘এখনও পর্যন্ত আমরা MEEP (মেমোরেন্ডাম অফ ইকোনমিক অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল পলিসিস) খসড়া পাইনি। ’ বুধবার রাত পর্যন্তও ছিল এই খবর। এখনও পর্যন্ত বহিরাগত ফান্ড ও আর্থিক পরিমাপ নিয়ে পাকিস্তানের সামনে যে নথি পেশ করা হয়েছে, তাতে খুব একটা সায় আসেনি আইএমএফ থেকে। ফলে কোন পদ্ধতিতে পাকিস্তানের আর্থিক সংকট মোকাবিলা করা যাবে,তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা। সেই প্রক্রিয়া এখনও চূড়ান্ত হয়নি। (তুরস্ক, সিরিয়ায় মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ১৬ হাজার, বাসিন্দাদের মধ্যে বাড়ছ উদ্বেগ)
এর আগে, ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সেদেশ ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের আর্থিক প্যাকে়জে প্রবেশ করেছিল আইএমএফের থএকে আর্থিক সাহায্যের হাত ধরে। সেই ঘটনা ২০১৯ সালের। তারপরই আসে করোনার প্রকাণ্ড ঝড়। কার্যত বিশ্বের অর্থনীতিকে যা ধরাশায়ী করেছে। এদিকে, ২০১৯ সালে যে আর্থিক প্যাকেজ নেওয়া হয়েছে, তা গত বছর ৭ বিলিয়নে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের আর্থিক সংকট কার্যত ঘনিয়ে আসে আরও। যদিও পাকিস্তানের অর্থ ও রাজস্ব প্রতিমন্ত্রী আইশে ঘাউস পাশা জানিয়েছেন, ‘আমরা আলোচনা চূড়ান্ত হওয়ার খুব কাছে আছি।’ তিনি জানান, মুদ্রাস্ফীতি ও আর্থিক সংকটের প্রভাব যাতে কমানো যায় পাকিস্তানে তার জন্য সচেষ্ট শাহবাজ শরিফ সরকার।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup