রেজাউল এইচ লস্কর
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। ফের তিনি ভারতের সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। মঙ্গলবার তিনি জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ ও অর্থপূর্ণ কথাবার্তা না হলে আমরা কোনও দিনই স্বাভাবিক প্রতিবেশী হতে পারব না।
ইসলামাবাদে মিনারেলস সামিটে অংশ নিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি এনিয়ে মুখ খোলেন। এর আগে মাস ছয়েক আগেও তিনি এনিয়ে মতামত দিয়েছিলেন। সেবার আরআরবিয়া নিউজ চ্যানেলে একটা সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, সেই ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার পর থেকে ভারত আর পাকিস্তানের মধ্য়ে কোনও কথাবার্তা নেই। এমনকী সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গও টেনেছিলেন তিনি।
তবে সেই সময় শরিফ কোনও দেশের নাম উল্লেখ করেননি। তবে এটা বোঝা গিয়েছিল তিনি ভারতের কথা বলতে চাইছেন। তিনি জানিয়েছিলেন, দুই দেশের ক্ষেত্রে যুদ্ধ কোনও পথ হতে পারে না।
শরিফ জানিয়েছিলেন, আমরা কারোর বিরুদ্ধে নই। আমরা নিজেদের দিকে তাকাচ্ছি। আমাদের দেশকে গড়তে হবে। এমনকী আমাদের প্রতিবেশীকেও। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত। তবে একটাই শর্ত প্রতিবেশীকে সিরিয়াস আলোচনাটা গুরুত্ব দিয়ে করতে হবে। কারণ যুদ্ধ আর কোনও অপশন হতে পারে না। তিনি সিরিয়াস আলোচনার কথা জানিয়েছিলেন। কি্ন্তু কী আলোচনা সেটা জানাননি।
শরিফ জানিয়েছেন, এটা খুব দরকার যে আমাদের প্রতিবেশীকেও বুঝতে হবে আমরা স্বাভাবিক প্রতিবেশী হতে পারব না যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের মধ্য়ে অস্বাভাবিক ব্যাপারগুলি দূর হবে না। শান্তিপূর্ণ ও অর্থপূর্ণ আলোচনা করা দরকার।
তবে শেহবাজ শরিফের এই বক্তব্যের পরে ভারতের তরফে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ওই মিটিংয়ে পাকিস্তানের সেনা প্রধান জেনারেল আসিম মুনির ও একাধিক বিদেশি অতিথিরা ছিলেন।
শরিফ জানিয়েছেন, পাকিস্তানের হাতে আণবিক অস্ত্র রয়েছে। কিন্তু সেটা হামলার জন্য নয়, প্রতিরক্ষার জন্য। গত ৭৫ বছরে আমরা তিনটি যুদ্ধ করেছি। তাতে কী হয়েছে? আরও দারিদ্র, বেকারত্ব, সম্পদ নষ্ট, স্বাস্থ্য শিক্ষা নষ্ট হয়েছে। আমাদের অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার যুদ্ধ হোক। যদি আণবিক কিছু হয় তবে কী হবে সেটা বলার মতো জীবিত কেউ আর থাকবে না।
এদিকে গত জানুয়ারি মাসেও তিনি আরব আমিরশাহির নেতাদের বলেছিলেন ভারতের সঙ্গে কথা বলতে চাই।
তবে এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নওয়াজ শরিফের আমলে ২০১৩-১৭ সালের মধ্য়ে একাধিকবার কথা বলেছেন। ২০১৫ সালে তিনি লাহোরেও গিয়েছিলেন। তবে পরে সেই সম্পর্কে চিড় ধরে।