শ্রীলঙ্কা এখনও আর্থিক সংকটের মোকাবিলায় চরম লড়াই লড়ছে। অন্যদিকে কিছুটা হলেও দেশের আর্থিক দুর্গতি সামলে নিয়েছে পাকিস্তান। ভারতের দুই প্রতিবেশী দেশে এমন অবস্থার পর এবার পাকিস্তানে বড়সড় আর্থিক দুর্গতি। তবে সংকটের মেঘ মাথায় নিয়ে পাকিস্তান সদ্য আইএমএফ-এর সঙ্গে বৈঠক করেছে। আর সেই বৈঠকে কার্যত সাফল্যের মুখ দেখেছে সেদেশ।
আর্থিক সংকট ঘিরে পাকিস্তান 'বেল আউট' সংক্রান্ত সমস্যা থেকে খানিকটা স্বস্তি পেয়েছে। ফলে ৬০০ বিলিয়নের অ্যাসিসটেন্স প্যাকেজ আপাতত পাকিস্তানকে খোয়াতে হচ্ছে না। এছাড়াও বিশ্বের বাকি দেশ থেকেও যে সমস্ত আর্থিক উৎস পাকিস্তানের কাজে লাগে, তাও এবার তারা পেতে চলেছে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের আর্থিক পরিস্থিতি এই মুহূর্তে খুবই খারাপ পর্যায়ে রয়েছে। তাদের ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ কার্যত সংকুচিত হতে শুরু করেছে দ্রুত। মার্কিন ডলারের নিরিখে পাকিস্তানের অর্থ রেকর্ড কমতিতে রয়েছে। আইএমএফের তরফে এস্থার পেরেজ রুইজ জানিয়েছেন, 'গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ২০২৩ আর্থিক বর্ষের বাজেটের জন্য।'
উল্লেখ্য, ঋণদানকারী আইএমএফ জানিয়েছে, যাতে পাকিস্তান অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে অগ্রগতি আনতে পারে তার জন্য কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বস্তুনিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। যাতে পাকিস্তানের বাজেট আইএমএফএর সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে চলতে পারে। আর্থিক বর্ষের টার্গেট ও অর্থনীতি নিয়ে পাকিস্তানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আইএমএফ বৈঠক করে মঙ্গলবার। তারপরই এই সমস্ত তথ্য প্রকাশ্যে আসে। এদিকে ঘরের মাটিতে পাকিস্তানের নতুন সরকার অর্থনীতির হাল ফেরাতে প্রাইস ক্যাপ তুলে দিয়েছে। ফলে তিন সপ্তাহেই সেদেশে পেট্রোলের দাম ৭০ শতাংশ বেড়েছে।