বৈষ্ণবী সিনহা
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) বর্তমানে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে, যা পেটিএমের মূল সংস্থা ওয়ান ৯৭ কমিউনিকেশনস লিমিটেডের একটি সত্তা। এখন শোনা যাচ্ছে, বর্তমান অভিযোগের মধ্যেই পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। এনিয়ে কী বলছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা?
পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে ইডির তদন্তের খবর প্রকাশ্যে আসতেই সংস্থার এক মুখপাত্র এএনআইকে বলেন, ওয়ান ৯৭ কমিউনিকেশন লিমিটেড এবং পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক সর্বোচ্চ নৈতিক মান নিয়ে কাজ করে। আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে আমরা বা ওসিএলের প্রতিষ্ঠাতা-সিইও কেউই অর্থ পাচারের বিষয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তের বিষয় ছিলাম না।
তিনি জানিয়েছেন, মাঝে মাঝে, আমাদের প্ল্যাটফর্মের কিছু ব্যবসায়ী তদন্তের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং আমরা এই ধরনের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করি। আমরা আর্থিক প্রতারণা সংক্রান্ত কার্যক্রমে জড়িত থাকার বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে অস্বীকার করছি এবং বিশ্বাস করি সঠিক তথ্য প্রচারের জন্য সুষ্ঠু ও দায়িত্বশীল তথ্য়প্রদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পেটিএম ব্যাঙ্কের মুখপাত্র অর্থ পাচারের সমস্ত অভিযোগ ও দাবি অস্বীকার করেছেন, এই জাতীয় বিষয়গুলি রিপোর্ট করার সময় দায়িত্বশীল প্রতিবেদন এবং যাচাই করা তথ্যের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন।
অর্থ পাচার কার্যক্রমে আমাদের জড়িত থাকার যে কোনো অভিযোগ আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা দায়িত্বশীল প্রতিবেদনের পক্ষে এবং জনসাধারণের প্রচারের জন্য যাচাই করা তথ্যের উপর নির্ভর করার গুরুত্বের উপর জোর দিই। পেটিএম সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
শনিবার রাজস্ব সচিব সঞ্জয় মালহোত্রা রয়টার্সকে বলেন, নতুন করে তহবিল পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেলে পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারে ভারতের আর্থিক অপরাধ দমনকারী সংস্থা।
মালহোত্রা রয়টার্সকে বলেন, যদি আরবিআই পেটিএমের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের কোনও নতুন অভিযোগ থেকে থাকে, তবে দেশের আইন অনুসারে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তা তদন্ত করবে। তবে পেটিএম ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে এখনও কোনও সুনির্দিষ্ট তদন্ত শুরু করেনি ইডি।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছিল যখন এটি বোঝা গিয়েছিল যে কয়েক হাজার গ্রাহক তাদের কেওয়াইসি করেননি, যা একটি বড় আর্থিক সুরক্ষা ঝুঁকি এবং অর্থ পাচারের কারণ হতে পারে।
(সংবাদ সংস্থা এএনআই ইনপুট সংযুক্ত)