নিজে মুখে বললেন না, দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। তবে আনলক-১-এর দেশে সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধির দায় কার্যত আমজনতার ঘাড়েই চাপালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ক্ষোভপ্রকাশ করে জানালেন, আনলক-১ থেকে দেশবাসীর ‘দায়িত্বজ্ঞানহীনতা' বেড়েছে।
আনলক-২ শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে মোদী বলেন, 'যখন থেকে দেশে লকডাউন শুরু হয়েছে, তখন থেকে ব্য়ক্তিগত এবং সামাজিক স্তরে দায়িত্বজ্ঞানহীনতা বাড়ছে। আগে আমরা মাস্ক পরা, দু'গজ দূরত্ব মেনে চলা, দিনে একাধিকবার ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধোয়ার মতো বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক ছিলাম। লকডাউনের সময় কঠোরভাবে নিয়ম পালন করা হয়েছিল। এখন সরকার, স্থানীয় প্রশাসন এবং দেশবাসীদের ফের সেরকম সতর্কতা দেখাতে হবে।'
তবে শুধুমাত্র নিজেই নিয়ম মেনে চললেই কাজ শেষ হবে না, যাঁরা সতর্কতা অবলম্বন করছেন না, তাঁদের সচেতন করারও আর্জি জানিয়েছেন মোদী। একইসঙ্গে দেশের কনটেনমেন্ট জোনগুলি যে কেন্দ্রের মাথাব্যথার অন্যতম কারণ, তা কার্যত স্বীকারও করে নিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বিশেষত কনটেনমেন্ট জোনে আমাদের বেশি নজর দিতে হবে। যাঁরা নিয়ম মেনে চলছেন না, তাঁদের ব্যাখ্যা করতে হবে, আটকাতে হবে এবং বোঝাতে হবে।’
মোদী জানান, জনসমক্ষে মাস্ক পরে না যাওয়ায় একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে (বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী) ১৩,০০০ টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছে। সেরকমভাবে ভারতেও সবার জন্য একই নিয়ম প্রয়োজ্য হবে বলে জানান। সেই নিয়ম পালনের দায় অবশ্য স্থানীয় প্রশাসনের দায় দিকে ঠেলেছেন মোদী। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসনকেও এরকমভাবে কাজ করতে হবে। এটা ১৩০ কোটি দেশবাসীর জীবন রক্ষার অভিযান। ভারতে গ্রামের প্রধান হোন বা দেশের প্রধানমন্ত্রী - কেউই নিয়মের উর্ধ্বে নন।’