এপার বাংলাই হোক বা ওপার বাংলা। ইলিশের চাহিদা সবসময়ই থাকে তুঙ্গে। কিন্তু চাহিদা থাকলেই তো হবে না। যোগান তো থাকতে হবে। তবে অবশেষে খুশির খবর। বাংলাদেশের বাজারে আসতে শুরু করেছে বিরাট বিরাট রুপোলি শস্য। একেবারে ঝলমল করছে বাংলাদেশের একাধিক বাজার। বাজারে গেলে অন্য মাছের দিকে আর চোখ পড়ছে না। শুধু ইলিশ আর ইলিশ।
তবে সবটাই যে উচ্চবিত্তদের জন্য এমনটা নয়। মধ্য়বিত্তের সাধ্য়ের মধ্য়েও রয়েছে রূপোলি শস্য। ৫০০-৬০০ টাকা কেজি দরেও ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে। আবার দেড়-২ হাজার টাকা কেজি দরেও বিরাট সাইজের ইলিশও বিক্রি হচ্ছে। সেই ইলিশের স্বাদও যেমন দেখতেও তেমন!
সূত্রের খবর, সব ইলিশ যে মানে খুব ভালো এমনটা নয়। তবে কিছু জায়গায় মাইকিং করেও ইলিশ বিক্রি হয়েছে বলে খবর।
এদিকে সম্প্রতি বাংলাদেশের বরগুনার রায়হানপুরের একটি পুকুর থেকে প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়ে। নদী, সমুদ্রের ইলিশ পুকুরে এল কীভাবে তা ভেবে কূল পাচ্ছেন না স্থানীয়রা। তবে মাছগুলির ওজন ৬০০ গ্রামের মধ্যে ছিল বলে খবর।
কিন্তু এবার প্রশ্ন পুকুরে ইলিশ এল কীভাবে? সব মিলিয়ে ৯৫টি ইলিশ মিলেছে বলে খবর। তবে শেষ পর্যন্ত সেই ইলিশগুলি কীভাবে এল তা জানা যায়নি।
তবে এদিন বাংলাদেশের বাজারে মাইকিং করে যে ইলিশ বিক্রি হয়েছে তা পুকুরের নয়। কারণ পুকুরে ইলিশ মেলার ঘটনা একেবারেই বিরল। তবে একটু ছোট সাইজের ইলিশের দাম কিছুটা কমায় খুশি নিম্ন আয়ের মানুষরা।
তবে কলকাতার বাজারে কিন্তু ইলিশের দাম বেশ চড়া। মানে ৫০০-৬০০ টাকায় ইলিশ বিশেষত মিলছে না বলে খবর। যে ইলিশ মিলছে তা ৮০০-১২০০-১৫০০-২০০০ টাকা করে কেজি। সেক্ষেত্রে অনেকেই বাজারে গিয়ে ইলিশ দেখেই স্বাদ মেটাচ্ছেন। কারণ চড়া দামের ইলিশ কেনার মতো ক্ষমতা অনেকেরই থাকে না। এবার পুজোর সময় ইলিশ মিলবে কি না, সেই সময় ইলিশের দাম কেমন থাকবে তা নিয়েও এখন থেকেই চর্চা হচ্ছে।