আগামী বছরের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। তার আগে আগামী ২১ অক্টোবর লন্ডন থেকে পাকিস্তানে ফিরছেন দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। দেশে ফিরে তিনি তাঁর দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) নেতৃত্ব দেবেন বলেই জানা গিয়েছে। এই অবস্থায় নওয়াজের দেশে ফেরা নিয়ে তীব্র আক্রমণ করলেন দেশের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারুল হক কাকার। তাঁর সাফ কথা, যার যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাদের সকলকেই আইনি প্রতিকার হতে হবে। নওয়াজকেও আইনি প্রতিকার পেতে হবে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী পদে আনওয়ার উল হক কাকর, ভোটের আগে বিধি মেনে পদক্ষেপ
আনোয়ারুল হক কাকার একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘যারা আদালতে মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন আগামী সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিতে গেলে তাদের সকলকেই আইনি প্রতিকার পেতে হবে।’ একইসঙ্গে তিনি পিএমএন-এল সুপ্রিমো নওয়াজ শরিফের ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে জল্পনাও খারিজ করেছেন। উল্লেখ্য, ৭৩ বছর বয়সি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজের বিরুদ্ধে বহু দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আনোয়ারুল হক বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পিএমএল-এন বা অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতি কোনও সহানুভূতি নেই। একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার কীভাবে এমন চুক্তি করতে পারে?’ তিনি আরও বলেন, ‘নওয়াজ ফিরে এসে রাজনীতিতে অংশ নিলে তাঁকে কিছু আইনি বাধার সম্মুখীন হতে হবে। এসব আইনি প্রশ্নের উত্তর আইনি প্রতিকারের মধ্যেই রয়েছে।’
তত্ত্বাবধায়ক প্রধান মন্ত্রী জানান, যে কোনও নেতা, সে ইমরান খান, আসিফ আলি জারদারি বা নওয়াজ শরিফই হোক, তাঁদের মামলা অনুযায়ী আইনি প্রতিকার চাইতে হবে। নওয়াজ ছাড়াও ইমরান ও জারদারির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট নওয়াজকে আজীবনের জন্য সরকারি পদে অযোগ্য ঘোষণা করার পরে ২০১৭ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এদিকে, ২০২৪ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। যদিও এখনও পর্যন্ত দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি পাক নির্বাচন কমিশন। তবে কমিশনের এই ঘোষণার পরে গত মাসে পিএমএল-এন সভাপতি শেহবাজ শরীফ নিশ্চিত করেছিলেন যে তাঁর দাদা নওয়াজ ২১ অক্টোবর সাধারণ নির্বাচনের জন্য দলের প্রচারে নেতৃত্ব দিতে পাকিস্তানে ফিরছেন। জানা গিয়েছে, নওয়াজ ২১ অক্টোবর দুবাই থেকে একটি চার্টার্ড বিমানে করে পাকিস্তানে পৌঁছবেন। তবে পাকিস্তানে ফেরার পর শরিফের গ্রেফতার হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানা গিয়েছে।