শুক্রবার ছিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ অনুষ্ঠান। শতবর্ষের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় তিনি মেট্রোয় চড়েন। এরপর দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মোদী জানান, যে তিনি কেন চড়েছিলেন মেট্রো। সেই বক্তব্যেই উঠে আসে, যুব সমাজের কথা। যাঁদের সঙ্গে গল্প করতে করতে মেট্রোয় সওয়ার হয়েছিলেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসে ওটিটি, রিল প্রসঙ্গ।
‘ইজরায়েল থেকে চাঁদ’, সমস্ত বিষয়ে আলোচনা হয় যুব সমাজের মধ্যে। এই বক্তব্য পেশ করে মোদী জানান, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় সফরকালে তাঁর শুক্রবারের অভিজ্ঞতার কথা। শুক্রবার দেখা যায়, বেলা নাগাদ দিল্লির মেট্রোল ইয়েলো লাইনের মেট্রো ধরে ওঠেন মোদী। মেট্রোয় চড়ে তিনি সকলের সঙ্গে গল্প করতে করতে পৌঁছন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরপর সেখানে সমাপ্তি অনুষ্ঠানের মঞ্চে উঠে মোদী বলেন,কেন কলেজ ফেস্টিভালগুলি হওয়া দরকার, তার কথা। মোদী বলেন, ‘দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি পড়ুয়াই যেকোনও কলেজ ফেস্টে যোগ দিতে পছন্দ করেন। আমার ক্ষেত্রেও তাই। ’ এরপরই মোদী বলেন, ‘তাঁরা কথা বলবেন সব কিছু নিয়ে। .. কোন ফিল্ম দেখলে? ওটিটিতে ওই সিরিজটা দেখলে, ওই রিলটা দেখা হল না হয়নি?’ মোদী বলেন, ‘এক সমুদ্র আলোচনার বিষয় থাকে যুব সমাজের মধ্যে।’ মোদীর এই কথা শুনে ততক্ষণে দর্শকাসনে বসে পড়ুয়ারা করতালি দিতে থাকেন।
এরপরই মোদী বলেন, ‘একইভাবে আমিও এখানে এসেছি দিল্লি মেট্রোতে আমার যুব বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে গল্প করতে করতে।’ শুক্রবার, দিল্লির লোককল্যাণ মার্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন থেকে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনের দিকের মেট্রোয় রওনা হন মোদী। এদিন মেট্রো স্টেশনে প্রধানমন্ত্রীর আসা ঘিরে ছিল আঁটো সাটো নিরাপত্তা। এরপরই রাজধানীর বুকে মেট্রোয় চড়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনে নামেন মোদী। উল্লেখ্য, এদিন ছিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি। তার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ছাড়াও ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। প্রসঙ্গত, ১৯২২ সালের ১ মে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় রয়েছে ৯০ টি কলেজ ও ৮৬ টি বিভাগ।