সপ্তাহখানেক মতো দেশে ছিলেন না। আমেরিকা এবং ইজিপ্ট সফরে গিয়েছিলেন। সেই দুটি হাইপ্রোফাইল সফরের শেষে দিল্লিতে নেমেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার থেকে সব খবর জানতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপির সাংসদ মনোজ তিওয়ারি জানান, দিল্লি বিমানবন্দরে নেমেই প্রধানমন্ত্রী জানতে চান যে দেশে কী চলছে। মোদী যখন ভারতে ছিলেন না, তখন কী কী হয়েছে, তা সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করেন নড্ডা। তিনি জানান যে ভারত অত্যন্ত আনন্দে আছে। বিরাজ করছে শান্তি।
রবিবার (ইংরেজি মতে সোমবার) গভীর রাতে দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করেন মোদী। যিনি প্রথমে আমেরিকায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে দু'দিনের ইজিপ্ট সফর শেষে দেশে ফেরেন মোদী। যে দু'দেশের সফরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। যে দুটি দেশের সফরের বিষয়টি নিয়ে বিজেপি যে লোকসভা নির্বাচনে প্রচার চালাবে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন: PM Modi in Egypt: মৌলবাদ ও উগ্রপন্থা কীভাবে রোখা যায়? ইজিপ্টের মুসলিম নেতার সঙ্গে আলোচনা মোদীর
সেই পরিস্থিতিতে রবিবার (ইংরেজি মতে সোমবার) রাতে মোদীকে স্বাগত জানানোর দিল্লি বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন নড্ডা, প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার তথা বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর, বিদেশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন, সাংসদ হংস রাজ হংস, মনোজরা। তাঁরা ফুল দিয়ে মোদীকে অভ্যর্থনা জানান। কিছু কথা বলতেও দেখা যায়। তারপর নিজের রেঞ্জ রোভারে চেপে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী।
বিমানবন্দরে মোদী কী কথা বলছিলেন, তা পরে জানান বিজেপি সাংসদ মনোজ। সাংবাদিকদের সেই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘উনি (প্রধানমন্ত্রী মোদী) নড্ডাজিকে প্রশ্ন করেন যে এখানে (ভারতে) কী চলছে? নড্ডাজি জানান যে তাঁর (মোদী) সরকারের নয় বছরের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে মানুষের কাছে যাচ্ছেন দলের নেতা ও কর্মীরা। দেশ আনন্দে আছে।’
একইসুরে বিজেপি সাংসদ পরবেশ বর্মা জানান, দেশে কী চলছে, সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চান মোদী। আগামী বছর লোকসভা ভোটের আগে দেশে কীভাবে বিজেপির জনসংযোগ কর্মসূচি চলছে, তাও জানতে চান। বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘আমরা তাঁকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছি।’ সেইসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী লেখি আবার জানান, আমেরিকা এবং ইজিপ্ট সফরের সময় মোদীকে যেভাবে সম্মানিত হয়েছেন, সেটা পুরো দেশের জন্য।