বিশ্বে ফের ‘নম্বর ওয়ান’ হলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মার্কিন ডেটা ইন্টেজিলেন্স সংস্থা 'মর্নিং কনসাল্ট'-র সমীক্ষা অনুযায়ী, বিশ্বের সবথেকে গ্রহণযোগ্য নেতার তালিকার শীর্ষে মোদী আছেন। তাঁর ধারেকাছেও নেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁরাও। মোদীর পর দ্বিতীয় স্থানে যে রাষ্ট্রনেতা আছেন, তাঁর 'অ্যাপ্রুভাল রেটিং' ভারতের প্রধানমন্ত্রীর থেকে ১৩ শতাংশ কম বলে ওই সমীক্ষায় উঠে এসেছে। তবে এটা একেবারেই নতুন নয়, একাধিবার নিজের কাছে বিশ্বের ‘সিংহাসন’ রেখে দিয়েছেন মোদী।
কোন রাষ্ট্রনেতার গ্রহণযোগ্যতা ('অ্যাপ্রুভাল রেটিং') সবথেকে বেশি?
১) নরেন্দ্র মোদী (ভারত): মার্কিন ডেটা ইন্টেজিলেন্স সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, মোদীর গ্রহণযোগ্যতা দাঁড়িয়েছে ৭৮ শতাংশ। আবার ১৭ শতাংশ মানুষের কাছে তিনি গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হননি। ছয় শতাংশ মানুষ কোনও মত প্রকাশ করেননি।
২) লোপেজ অবরাদোর (মেক্সিকো): ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্টকে ৬৫ শতাংশ মানুষ গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেছেন। অর্থাৎ মোদীর থেকে ১৩ শতাংশ পিছিয়ে আছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট। ২৯ শতাংশ মানুষের কাছে তিনি গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হননি। কোনও মতপ্রকাশ করেননি পাঁচ শতাংশ মানুষ।
৩) জেভিয়ার মিলেই (আর্জেন্তিনা): বিশ্বের সবথেকে গ্রহণযোগ্য নেতার তালিকার তিন নম্বরে আছেন আর্জেন্তিনার রাষ্ট্রপতি। ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, তাঁর গ্রহণযোগ্যতা হল ৬৩ শতাংশ। তাঁকে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করেননি সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৩২ শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে, সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পাঁচ শতাংশ মানুষ কোনও মতপ্রকাশ করেননি।
৪) ডোনাল্ড টাস্ক (পোল্যান্ড): চতুর্থ স্থানে আছেন পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী টাস্ক। তাঁর 'অ্যাপ্রুভাল রেটিং' হল ৫২ শতাংশ। তিনি সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৩৮ শতাংশ মানুষের পছন্দ নন।
৫) ভায়োলা আমহার্ড (সুইৎজারল্যান্ড): পঞ্চম স্থানে আছে সুইৎজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৫১ শতাংশ মানুষের কাছে তিনি গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন।
আর কোন রাষ্ট্রনেতা কত নম্বরে আছে?
মার্কিন ডেটা ইন্টেজিলেন্স সংস্থার সমীক্ষা অনুযায়ী, সাত নম্বরে আছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ (অ্যাপ্রুভাল রেটিং ৪৬ শতাংশ)। আটে আছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি (অ্যাপ্রুভাল রেটিং ৪১ শতাংশ)। ১১ নম্বরে আছেন বাইডেন (অ্যাপ্রুভাল রেটিং ৩৭ শতাংশ)। আরও পিছিয়ে আছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনক, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ।