সংসদের যাবতীয় নিরাপত্তাকে বিঘ্ন ঘটিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েছিলেন কয়েকজন। এরপর সংসদের ভেতরেই স্লোগান দিতে শুরু করেন তারা। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা বুধবার আদালতে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ তাদেরকে অত্যাচার করছে। তাদের সঙ্গে বিরোধীদের যোগ রয়েছে এটা প্রমাণ করার জন্য় তাদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে।
অ্য়াডিশনাল সেশন জাজ হরদীপ কাউরের কাছে এই বক্তব্য পেশ করা হয়েছে। তিনি ৬জন অভিযুক্তের বিচারবিভাগীয় হেফাজত বাড়িয়ে পয়লা মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে। তাদের অভিযোগ অন্তত ৭০টি সাদা কাগজে তাদের দিয়ে সই করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাঁচজন অভিযুক্তের মধ্য়ে অন্যতম হলেন মনোরঞ্জন ডি, সাগর শর্মা, ললিত ঝা, অমল শিন্ডে, মহেশ কুমায়ত আদালতে এনিয়ে জানিয়েছেন।
তাদের দাবি আমাদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। ইলেকট্রিকের শক দিচ্ছে। জাতীয় বিরোধী দলের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে এটা স্বীকার করানোর জন্য তাদের উপর এই অকথ্য় অত্যাচার করা হচ্ছে। এটা তাদের অভিযোগ।
যৌথ হলফনামায় দুজন অভিযুক্ত জানিয়েছেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ আছে এটা জোর করে দুজনকে দিয়ে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। আদালত এনিয়ে পুলিশের কাছ থেকে বক্তব্য চেয়েছে। পরবর্তী শুনানির দিন হিসাবে ১৭ ফেব্রুয়ারিকে ঠিক করা হয়েছে।
এই ঘটনায় অন্য়তম অভিযুক্ত হলেন নীলম আজাদ। তিনি অভিযোগ করেছেন যে পুলিশ জোর করে তার কাছ থেকে সাদা কাগজে লিখিয়ে নিয়েছে। তবে তাঁর আবেদনটা এখনও আদালতে শুনানির জন্য় ওঠেনি।
অভিযুক্তদের দাবি তাদের কাছ থেকে জোর করে সোশ্য়াল মিডিয়া অ্য়াকাউন্ট, ইমেল, ফোনের পাসওয়ার্ড নিয়ে নেওয়া হয়েছে। ২০০১ সালের সংসদে জঙ্গি হানা হয়েছিল। তারপর এতগুলো বছর কেটে গিয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আচমকাই ঢুকে পড়েছিলেন সংসদে। সাগর শর্মা ও মনোরঞ্জন ডি লোকসভার চেম্বারে ঢুকে পড়েছিলেন। পাবলিক গ্যালারি থেকে তারা গ্য়ালারির মধ্য়ে ঢুকে পড়েন। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বরের ঘটনা। এমনকী তাদের হাতে হলুদ গ্যাসের কতকগুলি ক্যানিস্টারও ছিল। তারা স্লোগান দিতেও শুরু করেন। অপর দুই অভিযুক্ত অমল শিন্ডে ও নীলম আজাদ একদিকে তানাশাহি নেহি চলেগি বলে স্লোগান দিচ্ছিলেন। তখনই আবার তারা হলুদ রঙের ওই ক্যানিস্টার থেকে ধোঁয়া ছাড়তে শুরু করেন বলে অভিযোগ।