সরকারের আয়োজিত গণবিবাহের আসরে চরম বিতর্ক মধ্যপ্রদেশে। বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে গণবিবাহের আগে কনে অন্তঃসত্ত্বা কি না তা জানতে পরীক্ষা করা হল। পরীক্ষার ফলাফল আসার পর গণবিবাহের মঞ্চ থেকে বের করে দেওয়া হল পাঁচ কনেকে। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান গণবিবাহের এই প্রকল্প শুরু করেছিলেন। এই প্রকল্পের অধীনে অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির তরুণ তরুণীদের একসঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয় সরকারি খরচে। (আরও পড়ুন: ২৪-২৫ বৃষ্টির পর দু'দিনের বিরতি, তারপর ফের ভিজবে কলকাতা, পারদ চড়বে কবে?)
জানা গিয়েছে, গত শনিবার মধ্যপ্রদেশের ডিন্ডোরী জেলার গাড়াসরই গ্রামে সরকারের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছিল গণবিবাহের। ২১৯ জন কনে সেই মঞ্চে বিয়ে করতে এসেছিলেন। বিয়ের জন্য আগে থেকেই নাম নথিভুক্ত করানো হয়েছিল তাঁদের। বিয়ের আগে কনেদের প্রেগনেন্সি টেস্ট করানো হয় বলে অভিযোগ। গণবিবাহে এমন পরীক্ষা করানোয় বিতর্ক তৈরি হয়। বিতর্ক আরও বাড়ে যখন অন্তঃসত্ত্বা হওয়ায় পাঁচজন কনের বিয়ে বাতিল করে দেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, সাধারণত কনেদের বয়স যাচাই করতে এবং অন্য কোনও অসুস্থতা আছে কি না, তা নির্ধারণ করতে শারীরিক পরীক্ষা হয়ে থাকে। তবে এভাবে কেন প্রেগনেন্সি টেস্ট করানো হল? ডিন্ডোরী জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অপেক্ষা ২৮ এপ্রিলের, ডিএ নিয়ে বড় খবর পেতে চলেছেন সরকারি কর্মীরা
এদিকে বিয়ে বাতিল হওয়ায় এই পাঁচ কনে ভেঙে পড়েছেন। তাঁদের সকলেরই দাবি, বিয়ে ঠিক হওয়ার পর স্বামীর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন তাঁরা। হবু স্বামীর সঙ্গে সহবাসের কারণেই অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন তাঁরা। এদিকে অন্তঃসত্ত্বা হলে যে বিয়ে বাতিল হবে, বা বিয়ের আগে যে এই পরীক্ষা হবে তা তাঁদের আগে থেকে জানানো হয়নি। এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান দাবি করেছেন, এর আগে কখনও এভাবে কনেদের পরীক্ষা করা হয়নি। তিনি বলেন, 'এটা ঘটনায় মহিলাদের অপমান করা হয়েছে।' এদিকে প্রশ্ন উঠেছে, সরকার এই পাঁচ কনের বিয়ে বাতিল করে দেওয়ার পর এখন তাঁরা কী করবেন। এদিকে সরকারি আধিকারিকরা বিয়ে বাতিল হওয়া পাঁচ তরুণীকে কোনও প্রশ্নেরই সদুত্তর দিতে পারেননি বলে অভিযোগ। এদিকে এই ঘটনায় আসরে নেমেছে কংগ্রেসও। এই গণবিবাহ প্রকল্প এবং স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে হাত শিবির।