রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসেবে বিরোধীরা শরদ পাওয়ার থেকে ফারুক আবদুল্লাহ সহ অনেকের নাম নিয়েই আলোচনা করেছে। কিন্তু অপরদিকে ক্ষমতাসীন বিজেপি এখনও তাদের তুরুপের তাস প্রকাশ করেনি। এই আবহে মনে করা হচ্ছে বিজেপি এবার তাঁদের প্রার্থী ঘোষণা করে সবাইকে চমকে দিতে পারে। এর আগে ২০১৭ সালেও বিহারের তৎকালীন রাজ্যপাল রাম নাথ কোবিন্দকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে সবাইকে চমকে দিয়েছিল বিজেপি।
এদিকে গত বুধবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী নেতাদের একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের নেতারাও। সেখানে সম্মিলিত ভাবে রাষ্ট্রপতি প্রার্থীর নাম নিয়ে আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পাওয়া সত্ত্বেও আম আদমি পার্টি (দিল্লি ও পঞ্জাবের ক্ষমতাসীন দল), তেলাঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি (তেলাঙ্গানার ক্ষমতাসীন দল), YSRCP (অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষমতাসীন দল), শিরোমনি অকালি দল (পঞ্জাবের বিরোধী দল) এবং বিজেডির (ওড়িশার ক্ষমতাসীন দল) মতো দলগুলি বৈঠকে যোগ দেয়নি৷
এই আবহে ইন্ডিয়া টুডের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বামপন্থীরা বিরোধীদের আলোচনার অংশ হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একতরফা পদক্ষেপে খুশি নয়। বৈঠকে দুটি নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল এবং মহাত্মা গান্ধীর নাতি গোপালকৃষ্ণ গান্ধী এবং জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহর নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) শিবির থেকে খুব বেশি খবর মিলছে না। তবে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে, এনডিএ বনাম বিরোধী দলগুলির এই লড়াইয়ে এনডিএ-র জয়ের সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করা হচ্ছে।
এনডিএ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কোবিন্দকে ফের দাঁড় করতে পারে বা অন্য একটি বিস্ময়কর বিকল্প সামনে নিয়ে এসে সবাইকে অবাক করে দিতে পারে। এ নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। কিছু প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে কর্ণাটকের রাজ্যপাল এবং দলিত নেতা থাভার চাঁদ গেহলট, তেলাঙ্গানার রাজ্যপাল তামিলিসাই সুন্দররাজন এবং লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সুমিত্রা মহাজনের নাম বিবেচনা করা হচ্ছে বিজেপির তরফে। আবার মুক্তার আব্বাস নকভির নামও সম্ভাব্যদের তালিকায় রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।