রেজাউল এইচ লস্কর
একে অপরের সমস্যা বুঝতে হবে, একে অপরের নিরাপত্তা সংক্রান্ত উদ্বেগকে সম্মান করতে হবে। ব্রিকস সম্মেলনে এমনই বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মনে করা হচ্ছে চিনের উদ্দেশেই মোদীর এই বার্তা। উল্লেখ্য, সম্প্রতি পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গিকে রাষ্ট্রসংঘের তালিকাভুক্ত করতে চেয়েছিল ভারত। তবে তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় চিন। সেই রেশ টেনেই প্রধানমন্ত্রী মোদীর বার্তা, জঙ্গিদের চিহ্নিত করতে পারস্পরিক সহায়তা প্রদান করা উচিত ব্রিকস গোষ্ঠী ভিত্তিক দেগুলির।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে বিদেশ মন্ত্রক একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়েছে, সংবেদনশীল এই ইস্যু নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়। তবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কথায় কোনও দেশের উল্লেখ ছিল না। যদিও এক সপ্তাহ আগেই পাকিস্তান ভিত্তিক লস্কর-ই-তৈবা নেতা আব্দুল রেহমান মাক্কি সাসাকে ‘বিশ্ব জঙ্গি’ আখ্যা দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রসংঘে আবেদন করেছিল ভারত। তবে ভারতের সেই আবেদনের বিরোধিতা করে চিন। এই আবহে ব্রিকসের মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই বক্তব্য চিনকে উদ্দেশ্য করেই দেওয়া হয়েছ বলে বিশ্বাস করেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
প্রসঙ্গত, এর আগে পাক জঙ্গি জইশ-ই-মহাম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারকে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ‘আল-কায়দা এবং আইএস নিষেধাজ্ঞা কমিটি’ থেকে প্রায় এক দশক ধরে ‘রক্ষা’ করে গিয়েছিল চিন। সেই চিনই এবার মাক্কির জন্য ঢাল হয়ে দাঁড়াল। এর আগে ১ জুন ভারত এবং আমেরিকা যৌথ ভাবে মাক্কিকে ‘বিশ্ব জঙ্গি’ আখ্যা দেওয়ার প্রস্তাব করেছিল। চিন সেই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ‘আপত্তি’ জানায়। এবং এই নিয়েই ব্রিকসের মঞ্চে কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। মোদীর বার্তার পর ব্রিকসে রাষ্ট্রপ্রধানরা সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের তীব্র নিন্দা জানান। সন্ত্রাসীদের আন্তঃসীমান্ত আন্দোলন, সন্ত্রাসে অর্থায়ন সহ সব ধরনের জঙ্গি কার্যকলাপের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।