মধ্যপ্রদেশের কুনো অভয়ারণ্য়ে একের পর এক চিতার মৃত্যু। গত তিনদিনে ফের দুটি চিতার মৃত্যু। দুটি চিতারই কিডনি ও হৃদপিন্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই এনিয়ে নানা চর্চা শুরু হয়েছে। মূলত চিতার মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধন্দ একেবারে চরমে উঠেছে। আসলে চিতার মৃত্যু পেছনে এবার অন্যরকম কিছু আশঙ্কা করছেন চিতা বিশেষজ্ঞরা।
মূলত যেটা বলা হচ্ছে কুনো অভয়ারণ্যে যে চিতাগুলি রয়েছে তাদের গলায় রেডিও কলার পরানো রয়েছে। মূলত নতুন জায়গায় তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখার জন্য়ই এই রেডিও কলারগুলি পরানো হয়েছিল। তবে সম্প্রতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দুজন আফ্রিকান চিতা বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, আফ্রিকা থেকে আনা চিতাগুলির গলায় যে রেডিও কলার রয়েছে সেটা সমস্যার কারণ হতে পারে।
তবে সম্প্রতি একটি চিতা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। রেডিও কলারের মাধ্যমেই তার খোঁজ মেলে।
আসলে আশঙ্কা করা হচ্ছে এই রেডিও কলার থেকে চিতার শরীরে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। আর একবার সংক্রমণ ছড়ালে সেটা অন্য চিতার শরীরেও ছড়িয়ে যেতে পারে। সেকারণে এবার চিতার গলা থেকে রেডিও কলার খুলে নেওয়ার ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। কিন্তু এত বড় জঙ্গলে চিতার গলা থেকে রেডিও কলার খুলে নেওয়া সেটা সহজ ব্যাপার নয়। চলতি বর্ষার মধ্য়ে সেটা কতটা সম্ভব হবে তা নিয়েও সন্দেহ দানা বেঁধেছে। তবে চিতার যত্নের ব্যাপারে কোথাও কোনও ত্রুটি রাখছে না বনদফতর। কিন্তু একের পর এক চিতার মৃত্যু স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে ফেলছে বনদফতরকে। কারণ সেই সুদূর নামিবিয়া থেকে চিতাগুলিকে ভারতে আনা হয়েছিল। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই চিতা ছাড়ার সময় উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সেই চিতাকে বাঁচিয়ে রাখাটাই এখন বড় চ্য়ালেঞ্জ।
কিন্তু কীভাবে রেডিও কলার থেকে চিতার মৃত্যু হতে পারে? বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা চিতারা শরীর চুলকানোর সময় রেডিও কলার ভেঙে যেতে পারে। এর থেকে সংক্রমণ হলে বর্ষার মধ্যে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেকারণেই আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না বনদফতর। তবে এই চিতাগুলির মৃত্যু পেছনে রেডিও কলার জনিত সংক্রমণ কাজ করছে এমনটা মানতে চায়নি বনদফতর। তবে এই বিদেশি চিতাকে দেশের মাটিতে বাঁচিয়ে রেখে বংশবিস্তার করানোটা এখন বনদফতরের কাছে বিরাট চ্যালেঞ্জ।