পেট্রোল, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তাঁর মতে, মোদীজির যুক্তরাষ্ট্রীয় ভাবনা সহযোগিতামূলক নয়, বরং প্রতিহিংসাপরায়ণ।
বৃহস্পতিবার টুইট করে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী জানান, ‘দেশের জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, কয়লা ও অক্সিজেন সংকটের দায় রাজ্যগুলির ওপর চাপানো হচ্ছে। জ্বালানি তেলের ৬৮ শতাংশ শুল্ক নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার এই দায় নিতে অস্বীকার করছে। মোদীজির যুক্তরাষ্ট্রীয় ভাবনা সহযোগিতামূলক নয়, বরং প্রতিহিংসাপরায়ণ।’ গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির দায় অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির ওপর চাপান। প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরালা, ঝাড়খণ্ডের মতো একাধিক রাজ্য ছিল। নাম না করে প্রধানমন্ত্রী এই সব রাজ্যের কাছে আবেদন করেন, যাতে ওই সব রাজ্য জ্বালানির ওপর থেকে নেওয়া করের বোঝা কমান। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী গুজরাত, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, জম্মু কাশ্মীরের উদাহারণ টেনে আনেন। তাঁর মতে, এই সব রাজ্য কেন্দ্রের অনুরোধে জ্বালানির ওপর থেকে নেওয়া শুল্ক কমিয়েছে। কিন্তু কিছু রাজ্য নভেম্বর থেকে মে মাস, এই ৬ মাস শুল্ক না কমিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে অন্যায় করেছে। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিবাদেই সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
শুধু রাহুল গান্ধীই নয়, এই একই ইস্যুতে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের তরফে প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলা হয়েছে, কেন্দ্র বকেয়া ৯৮ হাজার কোটি টাকা মিটিয়ে দিক, তাহলে রাজ্য আগামী ৫ বছরের জন্য পেট্রোলের ওপর ভ্যাট নেওয়া বন্ধ করে দেবে। তবে গতকালের পর থেকে শাসক–বিরোধীদের ওপর চাপানউতোর চলছেই। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানিয়েছেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি পেট্রোল, ডিজেলের ওপর লিটার পিছু ভ্যাট নিচ্ছে সাড়ে ১৪ টাকা থেকে সাড়ে ১৭ টাকা। সেখানে অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি ভ্যাট নিচ্ছে ২৬ থেকে ৩২ টাকা লিটার পিছু। এটাই শুধু পার্থক্য। বিরোধীদের উদ্দেশ্যই শুধু বিক্ষোভ দেখানো, সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়া নয়।