অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় এদিন সংসদে দিনের শুরু থেকেই ওঠে ঝড়। মহুয়া মৈত্র , অধীর চৌধুরী থেকে শুরু করে এদিন রাজ্যবর্ধন রাঠৌর সমেত একাধিক সাংসদ বক্তব্যের ঝড় তোলেন সংসদে। এছাড়াও এর আগে, মণিপুর ইস্যুতে রাহুল গান্ধী তাঁর ভাষণে একাধিক আক্রমণ শানান মোদী সরকারকে। বুধবার রাতে জানা যায়, 'মণিপুরে ভারত মাতার মৃত্যু' নিয়ে যে মন্তব্য রাহুল গান্ধী করেছিলেন, তা সংসদের কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালীনই ওয়াকআউট করে বিরোধীরা। তখনই সংসদ থেকে বেরিয়ে আসার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাহুল গান্ধী।
এদিন সংসদের অধিবেশন থেকে মণিপুর ইস্যুতেই তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে ওয়াকআউট করেন বিরোধীরা। বিরোধীরা বলেন, ‘আপাতভাবে দেখতে গেলে ভারত মাতা শব্দবন্ধনী ভারতে বর্তমানে অসংসদীয় শব্দ।’ এদিন যখন রাহুল গান্ধীকে তাঁর ভাষণের অংশ সংসদের রেকর্ড থেকে বের করে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, তখনই ওই বক্তব্য উঠে আসে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিরোধী ব্লক ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে কংগ্রেস কর্তৃক আনা অনাস্থা প্রস্তাবের জবাব দেওয়ার ঠিক আগে গান্ধী সংসদ ত্যাগ করেছিলেন, বলেছিলেন যে তাঁর কিছু কাজ আছে। যদিও, পরে যখন সংসদে প্রধানমন্ত্রী মোদী ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন সংসদে ফিরে আসেন রাহুল।
( 'আমি ভীত', যাদবপুরের হস্টেলে ‘কিছু দাদা’দের নিয়ে সরব পড়ুুুয়ার বিস্ফোরক পোস্ট)
উল্লেখ্য, 'ভারত মাতা' নিয়ে সংসদে অনাস্থা আলোচনার দ্বিতীয় দিনে রাহুলের ভাষণের কিছু অংশকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অনাস্থা প্রস্তাবের বিতর্কের দ্বিতীয় দিনে 'ভারত মাতা' নিয়ে গান্ধীর কিছু মন্তব্য বুধবার গভীর রাতে লোকসভার স্পিকার রেকর্ড থেকে মুছে দিয়েছেন। এদিকে, মোদীর ভাষণের মধ্যেই এদিন ওয়াক আউট করেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি ছিল মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য। তাঁরা ওয়াকআউট করার পর বলেন, প্রধানমন্ত্রী ‘বলেননি কবে তিনি মণিপুর সফর করবেন...আজও তাদের কাছে স্থায়ী সমাধান নেই, মণিপুরে কবে শান্তি ফিরে আসবে তার কোনও রোডম্যাপ নেই। সমগ্র মণিপুর রাজ্য প্রধানমন্ত্রীর কথায় অসন্তুষ্ট ও দুঃখিত।’