ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় এবার বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল। কারশেডে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেন লাগানো থাকবে চেন দিয়ে। সম্প্রতি পূর্ব রেলের জিএম মনোজ জোশী ডিআরএমদের সঙ্গে বৈঠক করেন।সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।পাশাপাশি রেল হাসপাতালগুলিতে আপত্কালীন ব্যবস্থা তৈরি রাখার পাশাপাশি অ্যাক্সিডেন্ট রিলিফ ট্রেন ও কর্মীদের তৈরি থাকতে বলা হয়েছে। বিকল্প বিদ্যুতের ব্যবস্থা ও ওষুধের জোগান মজুত রাখতে বলা হয়েছে।
গত বুধবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে রেল কর্তাদের আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে রেলকে তৈরি বলে রাজ্য।জানা যাচ্ছে, আগামী ২৫ ও ২৬ মে পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলে ঝড় আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পূর্ব রেলের তরফে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ঝড় যেদিন আসবে, সেদিন যেন শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। দুই ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ারিং, অপারেশন, সিগনালিং বিভাগগুলিকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেলের তরফে।
এই প্রসঙ্গে হাওড়ার ডিআরএম সুমিত নারুলা জানান, হাওড়ার কারশেড এলাকা জলে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে ওই এলাকা থেকে ট্রেনগুলিকে সরিয়ে অন্যত্র রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।পাশাপাশি জল তুলে ফেলার জন্য পাম্পগুলিকে সক্রিয় রাখারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।ঝড়ের তাণ্ডবে যাতে কারশেড এলাকায় বা অন্য রোডসাইড এলাকায় যেখানে ট্রেনগুলি রাখা হবে, সেই বগিগুলি গড়িয়ে যাতে বিপত্তি না ঘটায়, সেজন্য বগিগুলিকে চেন দিয়ে বেঁধে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে শিয়ালদহ ডিভিশনেও প্রস্তুতি চরমে।শিয়ালদহের ডিআরএম এস পি সিং জানান, ‘ঝড়ের বেশি প্রভাব পড়বে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায়।বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য সবরকম ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।নদী ব্রিজগুলির পরিস্থিতি আগাম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।লাইনে পেট্রোলিংয়ের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের ধস নামার দিকটিতেই নজর দিতে বলা হয়েছে।’
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৪ রাজ্য ও এক কেন্দ্রীয় শাসিত এলাকাকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ।চিঠিতে তিনি স্পষ্টত জানান, উপকূলবর্তী জেলাগুলির পরিকাঠামোকে খতিয়ে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরুরি পরিষেবা সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে। বিপর্যয়ের মধ্যেও যাতে করোনা চিকিৎসা ও টিকাকরণের ক্ষেত্রে কোনও ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় বিকল্প ব্যবস্থা রাখার কথা বলা হয়েছে।