রাজস্থানের অর্থমন্ত্রী দিয়া কুমারী বৃহস্পতিবার রাজ্য বাজেট পেশ করেছেন। সেখানে ঘোষণা করা হয়েছে কেজি থেকে পিজি পর্যন্ত বিনামূল্যে পড়াশোনা করতে পারবেন নিম্নবিত্তের লোকজন, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ৭০,০০০ নিয়োগ, হকারদের জন্য় পেনশন, ১০০০ কোটি স্কুল, কলেজ, হাসপাতালের উন্নতির জন্য় বরাদ্দ করা হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস সূত্রে।
এদিকে এদিনও বাংলার মতোই বিরোধীরা বাজেট পেশের আগে চিৎকার শুরু করেছিলেন। দিয়া কুমারী জানিয়েছেন,. কম আয়ের পরিবার, প্রান্তিক কৃষক ও শ্রমিক পরিবার থেকে উঠে আসা কেজি থেকে পিজি পর্যন্ত পড়াশোনা বিনা পয়সায় হবে।
লড়ো প্রোৎসাহান যোজনায় কন্য়া সন্তান হলে ১,০০০০০ টাকা দেওয়া হবে। শ্রমিক ও হকারদের জন্য ২০০০ টাকা করে পেনশনের ব্যবস্থা করা হবে। এজন্য ৩৫০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে।
ইসিআরপি প্রকল্পেও বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ১৩ জেলার জায়গায় এটা ২১টি জেলায় হবে। ৪৫০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
জলজীবন মিশনে ২৫ লাখ গ্রামীণ বাড়িতে পানীয় জল যাবে। খরচ ১৫,০০০ কোটি টাকা। মেট্রো সার্ভিস সীতাপুরা থেকে বিদ্যাধর নগর পর্যন্ত হবে।
এদিকে দিয়া কুমারী বিগতদিনের কংগ্রেস সরকারকে দায়ী করেন। তাঁর দাবি বিপুল ঋণের বোঝা তারা চাপিয়ে গিয়েছে। তাঁর মতে মাথাপিছু ঋণ ৩৬,৮০০ ছিল ২০১৭-১৮ তে সেটা ২০২৩-২৪ এর বেড়ে হয়েছে ৭০,৮০০ টাকা।
অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজস্থান এগ্রিকালচার ইনফ্রা মিশনে ২০০০ কোটি টাকার বাজেট থাকবে। এর মাধ্য়মে ২০,০০০ পুকুর, ১০,০০০ কিমি সেচের পাইপলাইন সহ নানা উন্নয়নের কাজ হবে।
পাঁচ লাখ বাড়িতে সোলার প্যানেল বসবে। লাখপতি দিদি যোজনায় পাঁচ লাখ মহিলাকে যুক্ত করা হচ্ছে। প্রসূতি মহিলাদের জন্য সহায়তা ৬৫০০ টাকা করা হচ্ছে। প্রতি ব্লকে আদর্শ অঙ্গনওয়াড়ির জন্য ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ৭০ লাখ পড়ুয়াদের প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ও ছাত্রীদের ক্ষেত্রে নবম ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য প্রতি বছর ১০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। এটা তাদের পোশাক ও খাতাপত্র কেনার জন্য ব্যয় করতে হবে।
অন্তত ২০টি ধর্মীয় স্থানের উন্নতি করা হবে। চিনি ও গুড় বিক্রির ক্ষেত্রে মান্ডি ফি মকুব করা হচ্ছে। দিয়া কুমারী জানিয়েছেন, রাজনৈতিক কারণে অনেক কাজ করত না কংগ্রেস সরকার।
এদিকে এদিনই বাংলার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। তৃণমূল সরকারের সঙ্গে বিজেপি সরকারের বাজেটের ফারাকটা দেখা যেতেই পারে।