আগামী এপ্রিল মাসে রাজ্যসভা সাংসদ হিসেবে মেয়াদ শেষ হচ্ছে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের। এর আগে ওড়িশা থেকে নির্বাচিত হয়ে সংসদের উচ্চকক্ষে গিয়েছিলেন তিনি। এবারও সেই ওড়িশা থেকেই তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। তবে ওড়িশা থেকে রাজ্যসভায় সাংসদ পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যা নেই বিজেপির কাছে। এপ্রিল মাসে এই রাজ্যের ৩ সাংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। অঙ্কের হিসেবে এই রাজ্য থেকে এই তিন আসনে রাজ্যসভা সদস্য হতে গেলে এক একজন প্রার্থীর ৩৭টি করে ভোট লাগবে। তবে ওড়িশা বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা মাত্র ২২। তা সত্ত্বেও অশ্বিনী বৈষ্ণবকে ওড়িশা থেকেই প্রার্থী করা হয়েছে। এবং বৈষ্ণবকে প্রার্থী করার পরেই ওড়িশার শাসকদল বিজু জনতা দল জানিয়ে দিয়েছে, তাঁরা কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীকে সমর্থন করবে। এই আবহে বিজেডি নিজেদের দলের ২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। (আরও পড়ুন: ভারত মহাসাগরে নজর দিল্লির, মলদ্বীপের খুব কাছেই এবার ২টি নৌঘাঁটি তৈরি করবে নৌসেনা)
আরও পড়ুন: ১৭তম লোকসভায় অবাক করা নজির ৯ সাংসদের, সানি দেওলকে ছুঁলেন দিব্যেন্দু অধিকারী!
এর আগে ২০১৯ সালেও বিজেডির সমর্থনেই বিজেপির টিকিটে রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন অশ্বিনী বৈষ্ণব। উল্লেখ্য, অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজে রাজস্থানের লোক। তবে আইএএস থাকাকালীন ২০১০ সাল পর্যন্ত ওড়িশায় নিযুক্ত ছিলেন তিনি। এরপর তিনি স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছিলেন সরকারি চাকরি থেকে। পরে মোদী ২.০ জমানায় রেলমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী করা হয় তাঁকে। অশ্বিনী বৈষ্ণবকে সমর্থন করার কথা জানিয়ে বিজেডি নিজেদের বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, রাজ্যে রেল পরিকাঠামো ব্যবস্থার উন্নয়নের স্বার্থে অশ্বিনী বৈষ্ণবকে সমর্থন করবে তারা। (আরও পড়ুন: 'আমাকে দলে নিতে চাইবে বিজেপি', বিস্ফোরক প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র)
আরও পড়ুন: শুধু ডিএ বৃদ্ধি নয়, বাড়বে বেতনও? বিধানসভায় পে কমিশনের সঙ্গে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর
উল্লেখ্য, দেশের ১৫টি রাজ্যের মোট ৫৬টি রাজ্যসভা আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি। পশ্চিমবঙ্গেরও পাঁচটি আসনে সেদিন নির্বাচন হবে। তবে ভোটাভুটি হবে না। কারণ 'অতিরিক্ত' প্রার্থী দেয়নি কোনও দলই। তৃণমূলের তরফ থেকে বিশিষ্ট সাংবাদিক সাগরিকা ঘোষ, প্রাক্তন সাংসদ মতুয়া মহাসংঘের সভাপতি মমতাবালা ঠাকুর, সুস্মিতা দেব এবং মহম্মদ নাদিমুল হককে প্রার্থী করা হয়েছে এবারে। এদিকে বিজেপি প্রার্থী করেছে শমীক ভট্টাচার্যকে। এদিকে শান্তনু সেন, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা (সদর) তৃণমূলের সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী এবং আবিররঞ্জন বিশ্বাসকে আর ভোট প্রার্থী করেনি তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিকে বাংলা ও ওড়িশা ছাড়া যে সব রাজ্যগুলিতে ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, সেগুলি হল উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, রাজস্থান, কর্ণাটক, উত্তরাখণ্ড, ছত্তিশগড়, হরিয়ানা এবং হিমাচল প্রদেশ। এর মধ্যে রাজস্থান থেকে এবার রাজ্যসভায় যেতে পারেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। এদিকে উত্তরপ্রদেশ থেকে বিজেপির প্রার্থী হচ্ছেন চৌধুরী তেজবীর সিং, শ্রীমতি সাধনা সিং শ্রীমতি অমরপাল মৌর্য্য, ডঃ সঙ্গীতা বলবন্ত, শ্রী নবীন জৈন, আরপিএন সিং, ডঃ সুধাংশু ত্রিবেদী। সমাজবাদী পার্টি এবারও জয়া বচ্চনকে প্রার্থী করে রাজ্যসভায় পাঠাচ্ছে।