২২ জানুয়ারি রামমন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন ছুটি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। আর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে গিয়েছিলেন চারজন আইনের ছাত্র। জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন তারা। তবে রবিবার বোম্বে হাইকোর্ট সেই জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিয়েছে।
রবিবার হাইকোর্টে স্পেশাল সিটিংয়ে বিচারপতি জিএস কুলকার্নি, নীলা গোখেল জানিয়েছেন, এই জনস্বার্থ মামলা পুরোটাই একটা প্রচারমুখী ব্যাপার। আর আদালতের অবস্থান হল যখন কোনও ছুটির ব্যাপার থাকে সেটা পুুরোপুরি সরকারের নীতির উপর নির্ভর করে। খবর বার অ্যান্ড বেঞ্চ সূত্রে।
আদালত জানিয়েছে, এই পিটিশন উপযুক্ত তথ্য় সমৃদ্ধ নয়। আদালত জানিয়েছে, মনে হচ্ছে এই আবেদন পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশে করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই আদালত জানিয়েছে, এটা বিশ্বাস করতে আমাদের কষ্ট হচ্ছে যে আইনের ছাত্ররা এই পেশাতে আসতে চাইছেন তারা এই ধরনের পিটিশন করতে পারেন। এটা নিয়ে আমাদের কোনও সন্দেহ নেই যে এই পিটিশন বিশেষ কারণে করা হয়েছে। কোর্টের পর্যবেক্ষণ আবেদনকারী ১৯৬৮ সালের কেন্দ্রীয় সরকারের একটি নোটিফিকেশনকে চ্যালেঞ্জ করেছে যেখানে কেন্দ্র রাজ্য় সরকারকে এই ধরনের ছুটি দেওয়ার অধিকার দিয়েছিল।
আদালত জানিয়েছে, নোটিফিকেশনে সরকার বলেছিল ২২ জানুয়ারি রামমন্দির প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন ছুটি দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু ১৯৬৮ সালের যে নোটিফিকেশন রয়েছে সেখানে রাজ্য সরকারকে এই ধরনের ছুটি দেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে। আদালত জানিয়েছে, আমরা মামলাকারীদের সতর্ক করে দিচ্ছি এই ধরনের আবেদন করার ক্ষেত্রে তারা যেন আরও সতর্ক হয়ে পা ফেলেন।
প্রসঙ্গত চারজন আইনের ছাত্র এই আবেদন করেছিলেন আদালতে। মহারাষ্ট্র ন্যাশানাল ল ইউনিভার্সিটি, সরকারি আইন কলেজ মুম্বই ও নির্মলা আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুজরাটে পড়াশোনা করেন। তারা মহারাষ্ট্র সরকারের ১৯ জানুয়ারিতে করা নোটিফিকেশনটা খারিজ করার আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। সেই সঙ্গেই আদালত জানিয়েছে, আমরা মামলাকারীদের সতর্ক করে দিচ্ছি এই ধরনের আবেদন করার ক্ষেত্রে তারা যেন আরও সতর্ক হয়ে পা ফেলেন।