গম রপ্তানি বন্ধের পর রফতানিকারকরা আটা রপ্তানি বাড়িয়েছে। বর্তমানে আটা রফতানি অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। সেই বৃদ্ধি ঠেকাতে সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। এরই মাঝে গত পাঁচ দিনে চাল রফতানিও বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম ১০ শতাংশ বেড়েছে। এর কারণে চালের আমদানি শুল্ক ৬২.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশে আনার কথা বলা হচ্ছে। ২২ জুন বাংলাদেশ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায় বাসমতি ছাড়া বাকি চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হল ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত।
বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্তের পর মাত্র পাঁচ দিনে ভারতীয় বাসমতি ছাড়া অন্য চালের দাম প্রতি টন ৩৫০ ডলার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬০ ডলারে। অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরপ্রদেশ ও বিহার থেকে বাংলাদেশে প্রচুর চাল রফতানি হয়। বাংলাদেশের এই সিদ্ধান্তের পর চালের দাম শুধু এই তিন রাজ্যে ২০ শতাংশ বেড়েছে, অন্য রাজ্যে তা বেড়েছে ১০ শতাংশ। ২০২০-২১ সালে বাংলাদেশ ১৩.৫৯ লাখ টন চাল আমদানি করেছে। তথ্য অনুযায়ী, ভারত ২০২১-২২ সালে ৬.১১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চাল রফতানি করেছে। সেখানে ২০২০-২১ সালে ভারত ৪.৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চাল রফতানি করেছে। উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী চাল বাণিজ্যের ৪০ শতাংশ ভারতের দখলে।
দেশি-বিদেশি বাজারের ব্যবসায়ীরা ধারণা করছেন, ভারত গমের পর চাল রফতানি নিষিদ্ধ করতে পারে। এই আতঙ্কে বাংলাদেশ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই শস্য সংকট দেখা দিয়েছে। বন্যায় ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই যত দ্রুত সম্ভব চাল আমদানি করতে চায় বাংলাদেশ।