রাহুল সিং
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক গোটা দেশজুড়ে ক্যান্টনমেন্ট এলাকা সংক্রান্ত ব্যাপারে রাজ্যের কাছ থেকে মতামত চেয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের কাছ থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক এনিয়ে মতামত চেয়েছে। হিমাচল প্রদেশের ইয়ল এলাকায় প্রথম ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে এটিকে মিলিটারি স্টেশন হিসাবে নামকরণ করা হয়েছে। ক্যান্টনমেন্ট এলাকার সঙ্গে সিভিলিয়ান এলাকাকে সংযুক্ত করার এটা প্রথম প্রয়াস। ব্রিটিশ আমলে এই এলাকাগুলি তৈরি হয়েছিল।
আসলে মিলিটারি স্টেশনের সঙ্গে ক্যান্টনমেন্ট এলাকার কিছু ফারাক রয়েছে। মিলিটারি স্টেশন সশস্ত্র বাহিনীর ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ। কিন্তু ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় মিলিটারির পাশাপাশি সিভিলিয়ানরাও থাকতে পারেন।
প্রতিরক্ষা দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় ভাট লিখিত বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সিভিল এরিয়াগুলিকে বাদ দেওয়া ও রাজ্যের যে পুরসভা রয়েছে তার সঙ্গে যুক্ত কার সেটা সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের উপর নির্ভর করছে। তবে এই নীতিটা প্রয়োগ করার জন্য় কোনও সময়সীমা বেঁধে দেওয়া যায় না।
আসলে দেশের ৫৮টি ক্যান্টনমেন্ট এলাকা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। সেই ক্যান্টনমেন্ট এলাকাগুলি উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, পঞ্জাব, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা, দিল্লি, বিহার, গুজরাট, হরিয়ানা, কেরল,ঝাড়খণ্ড,, কর্নাটক, ও মেঘালয়।
তার মধ্য়ে যে ক্যান্টনমেন্টগুলি আলোচনার বৃত্তে উঠে আসছে সেগুলি হল, আম্বালা, দেওলালি, দিল্লি, আহমেদনগর, জবলপুর, কাসাউলি, পাঁচমারি, সিলং, বাবিনা, বেরেলি, ওয়েলিংটন, পুনে, ডালহৌসি, সেকেন্দ্রাবাদ, লখনউ, এলাহাবাদ, অমৃতসর, ফিরোজপুর,দেরাদুন, ল্যান্সডাউন, নৈনিতাল ও রুরকি।
সব মিলিয়ে গোটা দেশজুড়ে ৬১টি ক্যান্টনমেন্ট রয়েছে। তবে এই ৫৮টির তালিকার মধ্য়ে জম্মু ও শ্রীনগরের বাদামিবাগ ক্যান্টনমেন্টটি নেই। তবে সব ক্যান্টনমেন্টকে মিলিটারি স্টেশন হিসাবে নামকরণ করা যাবে না।
মিলিটারি স্টেশনগুলি পুরোপুরি সেনা দ্বারা পরিচালিত। কিন্তু ক্যান্টনমেন্ট এলাকাগুলিতে মিলিটারি ও সিভিলিয়ান লোকজন থাকেন। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ক্য়ান্টনমেন্ট এলাকা থেকে সিভিলিয়ান এলাকাকে বাদ দেওয়া হলে ও স্থানীয় প্রশাসনিক এলাকার সঙ্গে সেগুলিকে যুক্ত করলে ও মিলিটারি স্টেশনকে আলাদা করে ফেললে এতে সামগ্রিকভাবে অনেকটাই সুবিধা হবে।