সীমিত ভাবে ট্রেন চালু হচ্ছে আজ থেকে। এরপর ধাপে ধাপে দেশের মধ্যে বিমান পরিষেবাও চালু করতে চায় কেন্দ্র। কিন্তু তার জন্য যে সব নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে সরকার, তাতে একথা বলাই যায়, সম্পূর্ণ ভাবে বদলে যেতে চলেছে আপনার বিমানযাত্রার অভিজ্ঞতা।
এখনও প্রকাশ করা হয়নি গাইডলাইনস, কিন্তু খসড়া স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিওর (এসওপি-র)একটা কপি আছে হিন্দুস্তান টাইমসের কাছে। সেখানে যা তথ্য আছে, তা থেকে এটা স্পষ্ট, করোনার জেরে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। তবে মিডল সিট ফাঁকা রাখার যে প্রাথমিক প্রস্তাব ছিল, সেটি বদল করেছে কেন্দ্র। এই খসড়া এসওপি সব স্টেকহোল্ডারদের কাছে পাঠানো হয়েছে যাদের সপ্তাহের শেষের আগে ফিডব্যাক দিতে বলা হয়েছে।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কী কী আছে খসড়া প্রস্তাবে-
বাড়িতে ওয়েব-চেক-ইন করে আসতে হবে।
আগামী ছয় ঘণ্টার মধ্যে যাদের ফ্লাইট তাদেরই শুধু এয়ারপোর্টে ঢুকতে দেওয়া হবে।
আইডি চেক করা হবে না বিমানবন্দরের গেটে
যাত্রীদের রিপোর্টিং টাইম আরও দুই ঘণ্টা বাড়িয়ে দেওয়া হবে, অর্থাত্ আরও দুই ঘণ্টা আগে আসতে হবে এয়ারপোর্টে।
হ্যান্ড লাগেজ নেওয়া যাবে না। একটা চেক-ইন লাগেজ নেওয়া যাবে ২০ কেজির কম ওজনের।
৮০ বছরের বেশি বয়সের নাগরিকদের আপাতত প্লেনে উঠতে দেওয়া হবে না।
জ্বর থাকলে যদি কোনও যাত্রীকে তাঁর নির্দিষ্ট দিনে যেতে না দেওয়া হয়, তিনি বিনাখরচে অন্য দিনে যেতে পারবেন।
আরোগ্য সেতু অ্যাপ বাধ্যতামূলক ভাবে ডাউনলোড করতে হবে। সেখানে গ্রিন দেখালেই বিমানে উঠতে পারবেন।
চেক-ইন-কাউন্টার যাত্রা শুরুর তিন ঘণ্টা আগে খুলতে হবে ও ৬০-৭৫ মিনিট আগে বন্ধ করতে হবে।
বোর্ডিং শুরু হবে ফ্লাইট ছাড়ার এক ঘণ্টা আগে ও কুড়ি মিনিট আগেই শেষ করতে হবে।
শুধু যাদের মেটাল ডিটেক্টরে লাল সঙ্কেত দেখাচ্ছে, তাদেরই সারা শরীরের তল্লাশি নেওয়া হবে।
আপাতত টিকিটে স্ট্যাম্প মারবে না সিআইএসএফ।
বোর্ডিংয়ের আগে ফের একবার যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা চেক করা হবে।
কোনও ভাবে সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়, একই পাইলট ও কেবিন কর্মীদের একসঙ্গে রস্টার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
খাওয়ার দেওয়া হবে না। তবে জল দেওয়া হবে।
কোনও ম্যাগাজিন, সংবাদপত্র দেওয়া হবে না।
বিমানের শেষ তিনটি সারি খালি রাখা হবে। প্রয়োজনে ফ্লাইটের মধ্যে আইসোলেশন করতে হলে ওই সিটগুলি ব্যবহার করা হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে স্যানিটাইজার ও পিপিই স্যুট রাখতে হবে বিমানে।