যোগ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গণহত্যা! হ্যাঁ, সম্প্রতি এমনই গুজব ছড়িয়ে পড়ে ব্রিটেনের ইংলিশ ভিলেজে। আর অন্যান্য দিনের মতোই পোষ্যদের নিয়ে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েছিলেন ব্রিটেনের চ্যাপেল সেন্ট লিওনার্ডস- এর ইংলিশ ভিলেজ এবং সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। পথেই অবস্থিত একটি যোগ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। সেখানে নিজের যোগ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ‘মেডিটেশন অ্যান্ড রিল্যাক্সেশন’-এর সেশন নিচ্ছিলেন এক প্রশিক্ষক। এই আসনে অংশগ্রহণকারীকে শবাসনের ভঙ্গিতে শুয়ে থাকতে হয়। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আবছা আলো আঁধারিতে যোগরত মানুষদের মৃত ভেবে বসেন স্থানীয়রা। গণহত্যার মত ঘটনা ভেবে তড়িঘড়ি ফোন করে স্থানীয় থানায়। ফোন পাওয়ার পরেই পুলিশের পাঁচটি গাড়ি হাজির হয় ওই যোগ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে।
প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষক ব্রিটেনের ইংলিশ ভিলেজের বাসিন্দা ২২ বছরের মিলি লজ ঘটনার আকস্মিকতায় বেশ হকচকিয়ে যান। তিনি বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকার বলেন, শবাসনের সময় লোকেদের প্রশস্ত জানালা দিয়ে উঁকি দিতে দেখেছেন - সেই সময়ে প্রশিক্ষণরত ব্যক্তিরা মাটিতে শুয়ে নিজেদের আসনে মগ্ন ছিল। যাইহোক, তিনি তখন এই বিষয়টিতে বিশেষ কর্ণপাত করেননি। ছাত্ররা একটি অন্ধকার ঘরে যোগ অভ্যাস করছিল, যেখানে শুধুমাত্র মোমবাতি জ্বলছিল। তিনি আরও জানান, খবর পাওয়া মাত্রই দলে দলে পুলিশ এসে আমার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ঘিরে ফেলে। কাউকে নিজের জায়গা থেকে নড়াচড়া করতে নিষেধ করে। শেষে পুলিশ ঘরে ঢুকে সবাইকে জীবিত দেখে।
পরে তিনি জানতে পারেন যে জনসাধারণ তার যোগ ক্লাসকে গণহত্যা ভেবে পুলিশকে খবর দিয়েছিল। তবে একটি সাধারন যোগ ক্লাস যে এইভাবে নাটকীয় গণহত্যার মতো গুজবে মোড় নেবে কল্পনাও করতে পারেনি মিলি লজ। যদিও পথচারীদের উদ্দেশ্যকে কোনও ভাবেই ছোট করে দেখতে চাননি তিনি। অকারণে পুলিশি হেনস্থার জন্য মিলির কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন ওই পথচারীরা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে বিষয়টি সম্পূর্ন ভুল বোঝার কারণে ঘটেছে। পথচারীরা ভালো উদ্দেশ্য নিয়েই খবর দিয়েছিল থানায়।