ইউক্রেনের দ্বিতীয় পরমাণু কেন্দ্রের সামনে রাশিয়ার মিসাইল আক্রমণ। পোল্যান্ডে আয়োডিন ট্যাবলেট বিলি। ঝাপোরিজ্ঝিয়ার আরও পূর্বে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরমাণু কেন্দ্রের সামনে মিসাইল আক্রমণ চালালো রাশিয়া। মাইকোলাইভের ওই পরমাণু কেন্দ্রটিতে তিনটি পরমাণু চুল্লি আছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পরমাণুচুল্লিগুলি অক্ষত আছে। সবকটি সক্রিয়। তবে পরমাণুচুল্লি থেকে মাত্র এক হাজার ফুট দূরে মিসাইলটি এসে পড়ে বলে অভিযোগ। মিসাইল যেখানে এসে পড়েছে, সেখানে একটি বিরাট গর্ত তৈরি হয়েছে বলে তারা জানিয়েছেন।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সামাজিক মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, রাশিয়া অঘটন ঘটানোর পথে আরও এক ধাপ এগিয়েছে। গোটা পৃথিবীকে রাশিয়া সংকটের মুখে ফেলে দিয়েছে। তবে একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, মিসাইল আক্রমণে কারও মৃত্যু হয়নি। কেউ আহতও হননি। প্রতিটি চুল্লি পরাীক্ষা করে দেখা হয়েছে। সেখানে কোনও রকম সস্যা হয়নি।
এর আগে ঝাপোরিজ্ঝিয়াতেও একইরকম আক্রমণ চালিয়েছিল রাশিয়া। সেখানে একটি চুল্লি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। ওই প্রকল্পের ভিতর থেকে লড়াই চালাচ্ছিল রাশিয়ার সেনা। পরে পরমাণু বিশেষজ্ঞদের একটি দল সেখানে পৌঁছয় এবং সবকটি চুল্লি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পোল্যান্ডের সতর্কতা
এদিকে সোমবারের ঘটনার পর পোল্যান্ডের সমস্ত দমকলকর্মীদের আয়োডিন ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে। অচিরেই বেসামরিক মানুষদেরও ওই ট্যাবলেট দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। পোল্যান্ডের আইন মেনেই একাজ করা হচ্ছে বলে দাবি।
সতর্ক থাকতেই একাজ করা হচ্ছএ বলে পোল্যান্ডের প্রশাসন জানিয়েছে। পরমাণু বিক্রিয়া হলে আয়োডিন ট্যাবলেট একমাত্র রক্ষা করতে পারে। রেডিয়েশনের হাত থেকে শরীরকে সামান্য হলেও বাঁচাতে পারে এই ট্যাবলেট। পোল্যান্ডের বক্তব্য, রাশিয়া যেভাবে পরমাণু প্রকল্পের সামনে আক্রমণ করছে বার বার, তাতে যে কোনও সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
রাশিয়ার অস্বীকার
পরমাণুকেন্দ্রের সামনের আক্রমণ নিয়ে মুখ না খুললেও গণকবর নিয়ে এই প্রথম বিবৃতি দিয়েছে ক্রেমলিন। মস্কোর মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের বক্তব্য, ইজিউমে যে গণকবর উদ্ধার হয়েছে, তার সঙ্গে রাশিয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। রাশিয়ার সেনা একাজ করেনি বলে তার দাবি। পেসকভ বলেছেন, এর আগে বুচাতেও একইরকম গণকবর মিলেছিল। সেখানেও রাশিয়ার কোনও হাত ছিল না। রাশিয়ার সেনা কোনও রকম যুদ্ধাপরাধ করেনি। বস্তুত, এদিনের বিবৃতিতে নাম না করেই ইউক্রেনকে এর জন্য দায়ী করেছে রাশিয়া।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: প্রতিবেদনটি ডয়চে ভেলে থেকে নেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিবেদনই তুলে ধরা হয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও প্রতিনিধি এই প্রতিবেদন লেখেননি।)