অপ্রত্যাশিত ভাবে ইউক্রেনের প্রতিরোধের মুখে পড়ে ‘হতাশ’ হয়েছে রাশিয়ার সেনা। এমনটাই দাবি করা হল পেন্টাগনের তরফে। দেশের রাজধানী কিয়েভের থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে রাশিয়ার সেনাকে রুখে দিয়েছে ইউক্রেন বাহিনী। আর এতেই গতি কমেছে রাশিয়ার ‘ঝড়’-এর। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ইউক্রেনে সেভাবে এগোতে পারেনি রাশিয়া। যদিও এদিন সকালে কিয়েভে বোমা বর্ষণ করে রাশিয়া। তবে সেনা নিয়ে কিয়েভের মাটিতে এখনও সেভাবে পা জমাতে পারেনি রুশ সেনা।
জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের উপর তিনদিক দিয়ে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব দিকে রাশিয়ার সেনার গতি ‘ভালো’ হলেও উত্তরে মন্থর গতিতে এগোচ্ছে রাশিয়ার আগ্রাসন। এদিকে যুদ্ধের প্রথমদিনই রাশিয়া দাবি করেছিল যে ইউক্রেনে বায়ুসেনা ঘাঁটি ও এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করেছে তারা। তবে এদিন পেন্টাগনের তরফে দাবি করা হল যে ইউক্রেনের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম পুরোপুরি কাজ করে এবং রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করছে।
এদিকে খারকিভ ও কিয়েভের উত্তর প্রান্তে কঠিন লড়াই চলছে বলে এদিন জানিয়েছে আমেরিকা। সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রায় ২০০ জন সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন রাশিয়ার হামলায়। এদিকে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ ঘর ছাড়া হয়েছে এই যুদ্ধের জেরে। এদিকে এদিন ফের একবার ইউক্রেনকে আলোচনার প্রস্তাব দিল রাশিয়া। বেলারুশে বসে এই আলোচনার কথা বলে ক্রেমলিন। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মস্কোর সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন। এর আগে রবিবার ক্রেমলিন বলে যে তাদেরর প্রতিনিধি দল বেলারুশিয়ান শহর গোমেলে ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করতে প্রস্তুত। তবে জেলেনস্কি সেই প্রস্তাব খারিজ করেন। তবে অন্যত্র রাশিয়ার সাথে আলোচনার পথ খোলা রাখেন তিনি।